এর কারণ হলো দ্বিতীয় দফার ঢেউয়ের বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা ভারতের এমন জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের নিরিখে। সেই সময় ভারতীয় অর্থনীতি ছিল ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে বাজে অবস্থায়। তার সাপেক্ষে এবার ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি দেখল ভারত।
আপাতদৃষ্টিতে গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধি বেশি মনে হলেও বিশ্লেষকরা সতর্কতাও উচ্চারণ করছেন। কেননা, গত বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকের সময় কঠোর লকডাউনে ছিল ভারত। ওই প্রান্তিকে ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ সংকুচিত হয়েছিল দেশটির অর্থনীতি।
ফলে চলতি অর্থবছরে অর্থনীতি সেভাবে ঘুরে না দাঁড়ালেও, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিকের দিকে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এমন খবর দিয়ে বলছে, এ জিডিপি প্রবৃদ্ধি খাতা-কলমে চমকপ্রদ হতে পারে। তবে বাস্তবে ভারতের অর্থনীতি এখনো কঠিন পরীক্ষার মুখে।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে বর্তমান পর্যন্ত এটিই ভারতের দ্রুততম জিডিপি প্রবৃদ্ধি। তবে তা সত্ত্বেও এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা। তারা বলছেন, গত বছরের তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় প্রবৃদ্ধি এত বেশি মনে হচ্ছে।
ভারতীয় দৈনিক হিন্দুস্তান টাইমস মঙ্গলবারের প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়ে লিখেছে, অর্থনীতির ভাষায় একে মূলত নিম্নভিত্তিক প্রভাব বলা হয়। অর্থাৎ খাতা-কলমে বিপুল উন্নতি হয়েছে মনে হলেও বাস্তবে ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ততটা ভালো নয়।
ভারতে গত বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপির রেকর্ড পতন হয়েছিল। দেশটির অর্থনীতির সংকোচন বা ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছিল মাইনাস ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ। তৃতীয় প্রান্তিকে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এ হার ছিল মাইনাস ৭ দশমিক ৫ শতাংশ।
সামগ্রিকভাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপির সংকোচন ছিল ৭ দশমিক ৩ শতাংশেরও বেশি; দেশটির ইতিহাসে চার দশকের মধ্যে সংকোচনের রেকর্ড ছিল সেটি। মহামারিতে রাজস্ব হ্রাস, বিনিয়োগ কমে যাওয়া এবং মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যয় বৃদ্ধিই ছিল এর প্রধান কারণ।