বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ ‘ঋণ শ্রেণিকরণ প্রসঙ্গে’ শিরোনামে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সম্প্রতি ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রেও ২৫ শতাংশ ঋণের কিস্তি পরিশোধে সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এর আগে গত বছরে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে ২০২০ সালের পুরো সময়ে ঋণ পরিশোধ না করে খেলাপিমুক্ত থাকার সুযোগ পান গ্রাহকরা।
পরে করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল রাখতে চলতি বছরের জুন মাসে ঋণের কিস্তির ন্যূনতম ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বা গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বছর ৩১ আগস্টের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই সময়ে ঋণ শ্রেণিকরণ করা যাবে না বলে নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ সুযোগ আবারও চার মাস বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তির ৫০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে এ বছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে ওই সময়ে ঋণ শ্রেণিকরণ করা যাবে না। অর্থাৎ ঋণের কিস্তি ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০০ টাকা হলে ৫০ টাকা পরিশোধ করলেই এ বছর গ্রাহক নিয়মিত হয়ে যাবে।
এছাড়া কিস্তির অবশিষ্ট অংশ ঋণের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরবর্তী এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।
ঋণের হিসাবগুলো সুদ মুনাফা শুধুমাত্র আদায় সাপেক্ষে আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে। ঋণের সুদ হিসাব চলমান নীতিমালায় অনুসরণ করতে হবে। তবে, এ সময় কোনো দন্ড সুদ বা অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না।