মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এবং এনবিসি নিউজের বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্যজানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
এনবিসি নিউজের প্রতিবেদেন বলা হয়েছে, নিউইয়র্কে যে ৪ জন মারা গেছেন, তাদের সবাই একটি বেসমেন্টে আটকা পড়েছিলেন। ঝড় থেকে বাঁচার জন্য সেই বেসমেন্টে আশ্রয় নিয়েছিলেন তারা, তারপর আর বের হতে পারেননি। বন্যার পানি বেসমেন্টে ঢোকায় মৃত্যু হয়েছে তাদের।
অন্যদিকে, বন্যাজনিত কারণে নিউজার্সি রাজ্যের প্যাসিক শহরে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে বলে সিএনএনকে নিশ্চিত করেছেন শহরটির মেয়র হেক্টর লরা।
হ্যারিকেন ইদার প্রভাবে স্থানীয় সময় বুধবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে নিউইয়র্ক সিটিসহ নিউইয়র্ক শহরের ৫টি পৌরসভা এবং নিউজার্সি এলাকায়। ভারী বর্ষণের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ এবং রেল ও পাতাল রেল সেবা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সির সরকারি কর্তৃপক্ষ।
বুধবার রাত থেকে নিউইয়র্ক ও নিউজার্সিতে শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ। এর মধ্যে একটি টর্নেডোও আঘাত হেনেছে নিউইয়র্কে। সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন ধারবাহিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ইতপূর্বে ঘটার কোনো রেকর্ড নেই।
নিউইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হোশুল এবং নিউজার্সির গভর্নর ফিল মার্ফি বুধবার রাতেই তাদের এলাকায় জরুরি অবস্থা জারির আদেশ দিয়েছেন। এর আওতায় অত্যান্ত জরুরিসেবা ব্যতীত অন্য কোনো যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, জনগণকে ঘর থেকে বের না হওয়ারও অনুরোধও করা হয়েছে।
বুধবার রাতে এক টুইটবার্তায় নিউইয়র্কের মেয়র ডি ব্লাসিও এ সম্পর্কে বলেন, ‘নগরবাসীকে অনুরোধ করা হচ্ছে, দয়া করে সড়ক ও পাতাল রেল ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজে সহায়তা করুন। যদি আজ রাতে আপনাদের কারো বের হওয়ার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে তা বাতিল করুন এবং এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে কোনোভাবেই গাড়ি চালানোর ঝুঁকি নেবেন না।’
সূত্র : রয়টার্স