বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টে (বিআইবিএম) অনুষ্ঠিত আইটি অপারেশনস অব ব্যাংকস শীর্ষক এক অনলাইন কর্মশালায় উপস্থাপিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক এবং পরিচালক (প্রশিক্ষণ এবং সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম) মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা সিএফএ। সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. শিহাব উদ্দিন খান। পাঁচ সদস্যের গবেষণা দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান আলম; সহকারী অধ্যাপক কানিজ রাব্বী; প্রভাষক মো. ফয়সাল হাসান এবং ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার জামাল উদ্দিন মজুমদার।
গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইটি সিকিউরিটিতে ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। ২০১৯ সালে মোট আইটি বাজেটের ৫ দশমিক ৬ শতাংশ আইটি সিকিউরিটিতে বরাদ্দ ছিল। ২০২০ সালে মোট আইটি বাজেটের প্রায় সাড়ে ৯ শতাংশ আইটি সিকিউরিটিতে বরাদ্দ রাখা হয়। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং খাতে দফায় দফায় সাইবার আক্রমণের কারণে সচেতনতা বাড়ায় আইটি সিকিউরিটিতে বরাদ্দ বেশি রাখছে ব্যাংকগুলো।
কর্মশালায় আরও বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মোজাফফর আহমদ, ড. বরকত-এ-খোদা; বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (প্রোগ্রামিং) দেবদুলাল রায়; ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলি; শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম মাঈনুদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
কর্মশালা উদ্বোধন করে বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল বলেন, ব্যাংকিং খাতে তথ্য ও প্রযুক্তি আরো বেশি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবার মান বাড়াতে হবে। যাতে গ্রাহকরা আরো আস্থার সঙ্গে ব্যাংকিং করতে সক্ষম হন। আর্থিক ও ব্যাংকিং সেবায় এখন তথ্যপ্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই।
সমাপনী বক্তব্যে বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, যেসব সুপারিশ ও মন্তব্য আসছে তা গবেষণা প্রতিবেদনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার সিদ্ধান্ত ত্বরান্বিত করবে।