তিনি বলেন, তৃতীয় এই স্টক এক্সচেঞ্জ হবে রাজধানী বেইজিংয়ে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
চীনের মূল ভূখণ্ডে বর্তমানে দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ আছে। একটি হলো সাংহাই আর্থিক কেন্দ্রে, আরেকটি দক্ষিণের শহর শেনজেনে।
সম্প্রতি চীনা কোম্পানিগুলো অভ্যন্তরীণ ও যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র চাপের মধ্যে আছে। বেইজিং ও ওয়াশিংটন—দুই দলই চীনা কোম্পানিগুলোকে ক্রমবর্ধমান নিরীক্ষণের আওতায় রেখেছে। আর এ অবস্থায় নতুন এ ঘোষণা এল।
যদিও প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ পরিকল্পনার বিস্তারিত জানাননি। তবে চীনা সিকিউরিটিজ রেগুলেটরি কমিশন (সিএসআরসি) তাঁর বক্তব্যের পরপরই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, তাদের নেতৃত্বে এটি হতে চলেছে। সিএসআরসি জানায়, ছোট ও মাঝারি আকারের উদ্যোগগুলো দুর্দান্ত কাজ করতে পারে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বলছে, নিবন্ধনব্যবস্থা সাংহাইয়ের স্টক মার্কেটের মতোই হবে। সাংহাইয়ের এই স্টক এক্সচেঞ্জ মূলত যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক প্ল্যাটফর্মের মতো কাজ করবে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনা কর্তৃপক্ষের নেওয়া নানা ধরনের পদক্ষেপ দেশটির বেসরকারি খাতের বড় অংশের ওপর বড় প্রভাব ফেলেছে। টেক জায়ান্ট, টিউটরিং ফার্ম থেকে শুরু করে মিউজিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও টিভি কোম্পানিগুলোর ওপরও প্রভাব পড়েছে। চীন সরকার ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছে যে চলমান এই পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। মূলত অর্থনীতিকে কঠোর নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য আগামী পাঁচ বছরের জন্য পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে সরকার।