স্যাক্সো ব্যাংক আয়োজিত এক ওয়েবিনারে হুগো লোরেন্স বলেন, চীনারা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করছে। তালেবানরা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকবে ধরে নিয়েই দেশটি আফগানিস্তানের খনি ও হাইড্রোকার্বন খাতে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করবে। এটি চীনের জন্য সম্ভাব্য বিজয়। কারণ চীন এমন স্থানে আধিপত্য বিস্তার করছে, যেখানে দুর্লভ ধাতুর বিশাল ভাণ্ডার রয়েছে।
লোরেন্স চীনের সম্ভাব্য বিনিয়োগের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেন, আফগানিস্তানে তামা, আকরিক লোহা ও বিরল ধাতুসহ সহজেই পুনরুদ্ধারযোগ্য ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে। আমরা মার্কিন ও ইউরোপীয় খনি সংস্থাকে কিছু সম্ভাব্য ছাড় দিতে আফগান সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছিলাম। সেখানে বড় সমস্যা হলো নিরাপত্তা নিয়ে।
আগে থেকেই চীনা সংস্থাগুলো আফগানিস্তানের খনি খাতে জড়িত। ২০০৭ সালে চীনের মেটালার্জিক্যাল করপোরেশন তামা খননের জন্য কাবুলের দক্ষিণ-পূর্বের মেস আয়নাক অঞ্চলকে ৩০০ কোটি ডলারে ৩০ বছরের ইজারা নিয়েছিল। এটিই দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়োগ। সূত্র: দ্য ন্যাশনাল।