ইথিওপিয়ার জেনারেল বাছা দেবেলে বিবৃতি দিয়ে এ তথ্য জানালেও কোন সময়কালে এসব বিদ্রোহী নিহত হয়েছেন তা অবশ্য জানাননি। বিবিসিসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সংবাদদাতারা বলছেন, সাম্প্রতিক সংঘাতে নিহতের হিসাব দিয়েছেন তিনি।
শীর্ষ এই জেনারেল আরও বলেছেন, সরকারি বাহিনীর অভিযানে আহত হয়েছেন ২ হাজার ৩০০ বিদ্রোহী। দুই হাজার বিদ্রোহীকে আটক করা হয়েছে। টাইগ্রের সংঘাতে কারণে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল বাছা দেবেলের অভিযোগ, টাইগ্রে পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট কিংবা টিপিএলএফ ইথিওপিয়াকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। প্রতিবেশী আমহারা ও আফার অঞ্চলে অভিযান চালানোর চেষ্টা করলে টিপিএলএফকে প্রতিহত করার দাবি করেছেন তিনি।
তবে তার এই দাবির পর টিপিএলএফ-এর পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। গত বছর ইথিওপিয়ার নোবেলজয়ী প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ ও অঞ্চলটির প্রধান রাজনৈতিক দল টিপিএলএফ নেতাদের মধ্যে কয়েক মাসের দ্বন্দ্বের পর এই সংঘাত শুরু হয়।
এরপর সামরিক বাহিনীর চৌকি বা ঘাঁটিতে বেশ কয়েকটি হামলায় টিপিএলএফ-এর জড়িত থাকার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ টাইগ্রের আঞ্চলিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অর্থাৎ টিপিএলএফকে উৎখাত করতে সেখানে সেনা সদস্যদের পাঠান।
সংঘাতে হাজার হাজার সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। সংঘাতের কারণে স্থানীয় লাখ লাখ বাসিন্দা বাড়িঘর পালাতে বাধ্য হয়েছেন। এর মধ্যে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী সুদানে। উভয়পক্ষই একের অপরের বিরুদ্ধে অত্যাচার, ধর্ষণ ও গণহত্যার অভিযোগ তুলেছে।