জানা যায়, প্রচলিত ব্যাংক কোম্পানি আইন লঙ্ঘন করে পুঁজিবাজারে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছে ব্যাংকটি। এছাড়া এককভাবে (সাবসিডিয়ারি ব্যতিত) গত জুলাই মাসে এনআরবিসি ব্যাংক থেকে ক্যাপিটালের ২৭ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করেছে। যেখানে আইনে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল বলেন, বিনিয়োগকৃত সিকিউরিটিজের দর বাড়ার কারনে বিনিয়োগ ২৫ শতাংশের বেশি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ ২০ শতাংশের মধ্যে। ব্যাংকের বিনিয়োগ গণনা করা হয় বাজার দরের উপর। যাতে পুঁজিবাজার ভালো করলে বিনিয়োগ বেড়ে যায়। কিন্তু সেটা সমন্বয় করতে গেলে পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
এর আগে গত বছরের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৭৪৯তম সভায় ব্যাংকটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। এরপরে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়। আর শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয় ২২ মার্চ।
এরপর এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য ১২ কোটি শেয়ার ইস্যু করে। এক্ষেত্রে প্রতিটি শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০ টাকা। সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করার জন্য এই অর্থ উত্তোলন করা হয়।
চতুর্থ প্রজন্মের এই ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে গত ১১ আগস্ট। তবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই।