এই তেলটি প্রক্রিয়াকরণের সময় এতে হেক্সেনের মতো রাসায়নিকদ্রব্য ব্যবহার করা হয় না। পুষ্টিকর এ তেলটি সাধারণত রান্নার কাজে বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকায় এটি ত্বক ও চুলের জন্য অনেক উপকারী। এ জন্য ত্বক ও চুলে ব্যবহারের বিভিন্ন পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয় আঙুরের তেল।
ফ্লোরিডার নিবন্ধিত ডায়েটিশিয়ান পুষ্টিবিদ অরল্যান্ডোর গ্যাব্রিয়েল ম্যানসেলা জানান, আঙুরের তেলে প্রচুর ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং শক্তিশালী পুষ্টি রয়েছে, যা শরীরের প্রদাহবিরোধী প্রক্রিয়াকে আরও উন্নীত করে।
আর এ তেলটি ত্বক ও চুলের জন্য এতটাই উপকারী যে, বেশিরভাগ ত্বক ও চুলে ব্যবহার করা পণ্যের কাঁচামালের তালিকায় এটির নাম লক্ষ্য করা যায়।
ত্বক ও চুলের যত্নে আঙুর তেলের উপকারিতা সম্পর্কে দেওয়া হলো—
চুলের যত্ন
চুলের শুষ্কতা ও খুশকি দূর করতে অনেক উপকারী আঙুরের তেল। এই তেলে ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই, ফেনোলিক নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। তাই এটি চুলের কোমলতা ও উজ্জলতা বৃদ্ধি করতেও অনেক কার্যকরী।
আঙুরের তেল চুলে ব্যবহার অনেক সহজ। এর জন্য শুধু এক চামচ আঙুরের তেল নিয়ে চুলে ও মাথার ত্বকে লাগিয়ে দিন। এতেই পাবেন উপকার।
ত্বকের যত্ন
ত্বকের যত্নে ব্যবহার করা বিভিন্ন পণ্যের প্রধান উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় আঙুরের তেল। এ তেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আপনার ত্বকের কোমলতা ও স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির জন্য অনেক উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, আঙুরের তেল ত্বকের হাইড্রেশন, ক্ষত নিরাময় করতে কার্যকরী এবং এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো প্রদাহবিরোধী হিসেবে কাজ করে।
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এমডি প্যাট্রিসিয়া ফারিসের মতে, প্রসাধনী ও চিকিৎসার বিভিন্ন পণ্যে আঙুরের তেল ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য উভয়ের জন্য উপকারী।
জাপানের ১২ নারীর ওপরে গবেষণা করে দেখা গেছে, আঙুর বীজের নির্যাস গ্রহণের পর মেলাসমা বা প্রেগন্যান্সি মাস্ক ব্যবহার করে ত্বকের বেশ উপকার পাওয়া গেছে।
তথ্যসূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট।