আত্মহত্যা করেছেন তিনি- এই মর্মে কয়েকবার তদন্ত সংস্থা তাদের প্রতিবেদনও দাখিল করেছেন আদালতে। যদিও তার পরিবার অর্থাৎ মা নীলা চৌধুরী এখনো সালমানের মৃত্যুকে আত্মহত্যা মানতে নারাজ। তার মতে খুন হয়েছেন এ নায়ক। সবকিছু ছাপিয়ে তার মৃত্যু এখনও রহস্যের আড়ালেই রয়ে গেছে। এদিকে প্রিয় নায়কের স্মরণে দেশজুড়ে সালমানের ভক্তরা নানা আয়োজন হাতে নিয়েছেন।
দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্যে প্রিয় নায়কের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হবে বলে জানা গেছে। সালমানের প্রয়াণ দিনে তার অবদান ও স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিও।
এটি অনুষ্ঠিত হবে এফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। এছাড়া টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আজ এ নায়কের স্মরণে তার অভিনীত ছবি প্রচার করবে বলে জানা গেছে।
১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের দাড়িয়াপাড়ায় অবস্থিত নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তার পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাবা কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড় ছিলেন। ছোটবেলায় তিনি ছিলেন কণ্ঠশিল্পী। ইমন নামে অভিনয় জীবন শুরু হয় বিটিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে।
১৯৯৩ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন সালমান শাহ। তিন বছরে অভিনয় করেছেন মোট ২৭টি ব্যবসাসফল সিনেমায়। কিন্তু হঠাতই না ফেরার দেশে চলে যান এই নায়ক। ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে ক্ষণজন্মা চিত্রনায়ক সালমান শাহ সবাইকে কাঁদিয়ে চলে যান না ফেয়ার দেশে।