বিজ্ঞানভিত্তিক মার্কিন সাময়িকী সায়েন্টিফিক আমেরিকানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পরীক্ষিত ওই ওষুধ মুখে খাওয়া যাবে।
ওষুধটিকে গবেষকরা বলছেন ‘ইআইডিডি-২৮০১’। এটি মূলত সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উচ্চ সংখ্যায় পুনরুৎপাদন এবং সংক্রমণে বাধা সৃষ্টি করে। গবেষণা–সংক্রান্ত নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স ট্রান্সলেশনাল মেডিসিন’ সাময়িকীতে।
সায়েন্টিফিক আমেরিকানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ওষুধটি টেস্টটিউবে মানুষের ফুসফুসের কোষের প্রতিলিপিতে করোনাভাইরাস বিস্তারে বাধা দিতে সক্ষম হয়েছে। ইঁদুরের ওপরও এটি প্রয়োগ করে সফলতা পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এতে ইঁদুরের ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করোনাভাইরাসকে পুনরুৎপাদনে বেশ কিছু দিন বাধা দেওয়ার এবং ফুসফুসের কার্যকারিতা উন্নত করার প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা বলছেন, তাদের তৈরি ওষুধটি এখনও মানুষের দেহে পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। তবে এর প্রভাব যদি মানুষের ক্ষেত্রেও একই রকম হয়, তবে কোভিড-১৯ মহামারির ক্ষেত্রে এটাই হবে প্রথম বড়ি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখে খাওয়ার ওষুধ বা বড়ি হিসেবে করোনার ওষুধ পেলে তা আশীর্বাদ হবে। কারণ, শিরায় ইনজেকশন দেওয়ার চেয়ে বেশি লোককে ওষুধ দেওয়া সহজ হবে।