রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের মাধ্যমে দেশটি বিদেশ থেকে পাঠানো আয়ের কমিশন ব্যয় কমাতে চাইছে। দেশটিতে অধিকাংশ প্রবাসী আয়ই আসে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। তবে ভার্চুয়াল এ মুদ্রার মাধ্যমে অর্থ পাচার নিয়ে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা। নিয়ন্ত্রণের আওতার বাইরে থাকায় বিশ্বের অন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এখনো ভার্চুয়াল মুদ্রাগুলোকে অনুমোদন দেয়নি। তবে অনেক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে।
গত বছর এল সালভাদরের প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬০০ কোটি ডলার, যা মোট দেশীয় উৎপাদনের ২৩ শতাংশ। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে এটি বিশ্বের সর্বোচ্চ অনুপাতগুলোর একটি।
বিভিন্ন জরিপে উঠে এসেছে, সালভাদররা বিটকয়েনের ব্যবহার নিয়ে সংশয়ে রয়েছে। ক্রিপ্টোকারেন্সির অস্থিতিশীলতা নিয়ে সতর্ক করে সমালোচকরা বলেছেন, বিটকয়েনের লেনদেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্য নিয়ন্ত্রণ ও আর্থিক ঝুঁকি বাড়তে পারে। তবুও কিছু বাসিন্দা আশাবাদী।
এল জোনতে বিচে একটি দোকানের মালিক রেইনা ইসাবেল এগিলার বলেন, বিটকয়েনের লেনদেন আমাদের সহায়তা করতে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পরিবার রয়েছে এবং তারা এখন বিনামূল্যে টাকা পাঠাতে পারবে। যেখানে ব্যাংকগুলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে এল সালভাদরে টাকা পাঠানোর জন্য উচ্চ হারে চার্জ কাটত।
এল জোনতে তথাকথিত বিটকয়েন বিচের একটি অংশ। এ শহরকেই বিশ্বের প্রথম বিটকয়েন অর্থনীতি গড়ে তোলার লক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
লেনদেন শুরুর আগে সরকার এরই মধ্যে চিভো ডিজিটাল ওয়ালেটের এটিএম স্থাপন করেছে। এর মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সিকে ডলারে রূপান্তর করতে এবং কমিশন ছাড়াই উত্তোলন করতে দেবে।