বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার গ্রিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর থেসালোনিকিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিটসোটাকিসের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল। ওইদিন শহরটিতে বিক্ষোভ শুরু করেন টিকাবিরোধীরা। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তত ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির দিন এই বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ও বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
গ্রিসে টিকা বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয় গত জুলাই মাসে, যখন দেশটির সরকার টিকার সব স্বাস্থ্যকর্মী ও নার্সিং হোম কর্মীদের জন্য করোনা টিকার ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে। পরে এই তালিকায় শিক্ষকদেরও যুক্তকরা হয়।
টিকার ডোজ না নেওয়ার কারণে গত ১ সেপ্টেম্বর প্রায় ৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার পর বিক্ষোভের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
শনিবারের বিক্ষোভ সম্পর্কে এক বিবৃতিতে গ্রিসের স্বাস্থ্যকর্মীদের সংগঠন পোয়েডিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা টিকার পক্ষে আছি, কিন্তু তা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে নই।’
পোয়েডিনের এক সদস্য রয়টার্সকে জানিয়েছেন, গ্রিসে টিকার একটি ডোজও নেননি এমন স্বাস্থ্যকর্মীদের মোট সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার এবং তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংগঠন চিন্তিত।
গ্রিসের সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশটির মোট জনসংখ্যার ৫৫ শতাংশ করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন এবং টিকার অন্তত একটি ডোজ নিয়েছেন ৫৯ শতাংশ মানুষ।
মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত গ্রিসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৩৮ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে মোট ১৪ হাজার ১৪১ জনের।
এর মধ্যে শনিবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ১৯৭ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন।
সূত্র : রয়টার্স