দেশটির রাজধানী কাবুল ও পূর্বাঞ্চলীয় শহর জালালাবাদে এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তালেবানের সূত্রের বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে এ তথ্য।
নানগারহার প্রদেশের রাজধানী জালালাবাদে শনিবার তালেবানের গাড়ি লক্ষ্য করে পরপর চারটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটানো হয়। এতে নারী-শিশুসহ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। এছাড়াও কাবুলে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত দুই জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কোনো গোষ্ঠী এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে নানগারহারে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) শক্ত অবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে। সন্দেহের তীর তাদের দিকেই।
তালেবানের এক সূত্র বলছে, জালালাবাদ ও কাবুলে হামলার পেছনে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) খোরাসান শাখার হাত থাকতে পারে। হামলার পরপরই জালালাবাদ থেকে সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তালেবানের ওই শীর্ষ নেতা বলেন, হামলার ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে এবং হামলাকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল গত ১৫ আগস্ট তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয় পুরো দেশে। লোকজন ভয় আর আতঙ্কে দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করতে শুরু করেন। বিমানবন্দর এলাকায় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে ও গোলাগুলিতে অন্তত ৩০ জন প্রাণ হারান। গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে মারা যান আরও ১৭৫ জন। আহত হন দেড় শতাধিক মানুষ। পরে ওই হামলার দায় স্বীকার করে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-কে।