বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
আফগানিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার মোট আটটি দেশ সার্কের সদস্য। এএনআই’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সার্ক-এর বৈঠকে আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবান-ই প্রতিনিধিত্ব করুক, এমনটাই দাবি করেছিল পাকিস্তান। তবে ভারতসহ কয়েকটি সদস্য দেশ এই প্রস্তাবে আপত্তি জানায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সার্কের বৈঠকে আফগানিস্তানের প্রতিনিধি হিসেবে তালেবানের অংশগ্রহণ নিয়ে ঐক্যমত ও সম্মতির অভাবে অচালাবস্থার সৃষ্টি হয় এবং পূর্ব নির্ধারিত এই বৈঠকটি বাতিল হয়ে যায়।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের পরপরই প্রতিবছর সার্কের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর নেপাল ছিল এই বৈঠকের আয়োজক দেশ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, সার্কের ‘বেশিরভাগ সদস্য দেশ’ চেয়েছিল চলতি বছর বৈঠকে আফগানিস্তানের আসনটি খালি থাকুক। কিন্তু তাতে রাজি হয়নি পাকিস্তান। ফলে শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি বাতিল হয়ে যায়।
হিন্দুস্তান টাইমসের রিপোর্ট বলছে, সার্কের চেয়ারম্যান নেপালের পক্ষ থেকে বাকি সদস্য দেশের সঙ্গে আফগানিস্তান ও তালেবানের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু সার্ক দেশগুলো এই বিষয়ে একমত হতে পারেনি। তাই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। সার্ক সচিবালয়ের পক্ষ থেকে সদস্য দেশগুলোকে চিঠিও দেওয়া হচ্ছে।
ভারতসহ কয়েকটি দেশ তালেবানের প্রতিনিধির অংশগ্রহণের বিপক্ষে ছিল। তখন একটি প্রস্তাব আসে, আফগানিস্তানের চেয়ার ফাঁকা রাখা হবে। কিন্তু পাকিস্তান সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাই বৈঠক বাতিল করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
১৯৮৫ সালে বাংলাদেশসহ সাতটি সদস্য দেশ নিয়ে যাত্রা শুরু করা সার্কের বর্তমান সদস্য সংখ্যা আটটি। ২০০৭ সালে আফগানিস্তান আনুষ্ঠানিকভাবে সার্কে যোগ দেয়।
সার্কের কার্যক্রম পরিচালিত হয় নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে অবস্থিত সার্ক সচিবালয়ের মাধ্যমে। সার্কের আটটি সদস্য দেশ হলো- বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও আফগানিস্তান।