ইলন মাস্ক ওই ভিডিওতে বলেন, ‘আমার খোলাখুলি পর্যবেক্ষণ হলো চীন অটোমোবাইল শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পে সর্বশেষ ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগের জন্য প্রচুর সম্পদ ও প্রচেষ্টা ব্যয় করছে, যা চীনকে ডিজিটালাইজেশনে বৈশ্বিক নেতা হিসেবে গড়ে তুলেছে। টেসলাও চীনে নিয়োগ এবং গবেষণা ও উন্নয়ন প্রচেষ্টা প্রসারিত করতে থাকবে।’
দুই সপ্তাহ আগে ওয়ার্ল্ড নিউ এনার্জি ভেহিক্যাল কংগ্রেসেও ইলন মাস্কের আগে থেকে রেকর্ড করা একটি ভিডিও দেখানো হয়। সেখানেও তিনি বলেন, চীনের গাড়ি প্রস্তুতকারীরা হলো বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক।
আসলে চীনে নিজেদের সুনাম বাড়াতে চাইছে টেসলা। চলতি বছরের শুরু থেকে চীনে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তোপের মুখে রয়েছে টেসলা। বিভিন্ন বিষয়ে চীনাদের নিরাপত্তার খাতিরে চীনা নিয়ন্ত্রকদের বিভিন্ন বাধার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। গত মার্চে চীনের সামরিক কমপ্লেক্স ও আবাসিক এলাকায় টেসলার গাড়ি প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এসব গাড়িতে যেসব ক্যামেরা যুক্ত রয়েছে, তা নিয়ে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হওয়ায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। ওই সময় টেসলার গাড়ির মালিকেরা যেন তাঁদের গাড়িগুলো সামরিক ভবনের বাইরে পার্ক করেন, এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এ ছাড়া চলতি বছর সাংহাইয়ের এক অটো শোতে নিম্নমানের কারণে ভোক্তাদের ক্ষোভের মুখে পড়ে টেসলা। জুনের চেয়ে জুলাইয়ে চীনে টেসলার গাড়ি বিক্রি কমেছে ৭০ শতাংশ। এর আগে জুনে ব্রেকিং সিস্টেমে দুর্বলতার কারণে চীনা বাজার থেকে নিজেদের ২ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি গাড়ি সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় টেসলা। টেসলার বৈদ্যুতিক গাড়ির সবচেয়ে বড় বাজার হলো চীন। তাই এ অবস্থায় নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা জানান ইলন মাস্ক।