সরবরাহ সমস্যায় ক্ষতির সম্মুখীন নাইকি ও আন্ডার আর্মার

সরবরাহ সমস্যায় ক্ষতির সম্মুখীন নাইকি ও আন্ডার আর্মার
শিপিং কনটেইনারের ঘাটতি, বন্দরে পণ্য খালাসে তৈরি হয়েছে জট। নিউইয়র্কে গাড়ি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জুতার ঘাটতি সৃষ্টি করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ভিয়েতনামে অনেক শিল্প-কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে প্যাকসুন থেকে শুরু করে নাইকি ও আন্ডার আর্মারের মতো প্রতিষ্ঠান তাদের উৎপাদন সংকটের বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক করে দিয়েছে।

শনিবার (২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে সরবরাহ সংকটের কারণে ভোক্তাদের প্রচুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও নাইকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের পুরো বছরের বিক্রির পূর্বাভাসে পরিবর্তন এনেছেন। নাইকি তাদের তিন-চতুর্থাংশ জুতা উৎপাদন করে থাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি ভিয়েতনামে ৫১ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ২৪ শতাংশ জুতা উৎপাদন করে থাকে।

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভিয়েতনাম সরকার কয়েক সপ্তাহের জন্য বাধ্যতামূলকভাবে সব শিল্প-কারখানা বন্ধের পাশাপাশি করোনা মহামারীসংক্রান্ত বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল। ফলে নাইকি তাদের ১০ সপ্তাহের উৎপাদন হারিয়েছে বলে জানায়।

আয়সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে নাইকির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাথিউ ফ্রেন্ড বলেন, অক্টোবরের শুরুতে পুনরায় কারখানা চালু করা হলেও সম্পূর্ণ উৎপাদনে ফিরতে কয়েক মাস সময় লেগে যাবে। বর্তমানে ভিয়েতনামে নাইকির সব শোরুম বন্ধ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

আরেক মার্কিন স্পোর্টস ব্র্যান্ড আন্ডার আর্মার এক-তৃতীয়াংশ জুতা ও পোশাক উৎপাদন করে থাকে ভিয়েতনামে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্যাট্রিক ফ্রিস্ক আগস্টে সাম্প্রতিক আয়ের তথ্য প্রকাশের সময় বলেন, ভিয়েতনামে কারখানা বন্ধের ফলে তাদের পণ্য সরবরাহে কী প্রভাব পড়ছে তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্যানুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পোশাক ও জুতা সরবরাহ করে চীন। জুলাইয়ে ভিয়েতনামে কভিডের নতুন ধরনের প্রাদুর্ভাবের হার হঠাৎ করেই বৃদ্ধি পায়। ফলে দেশটির শিল্প খাতে দ্রুত সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছিলেন ভিয়েতনামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরবর্তী সময়ে ভিয়েতনাম সরকার কঠোর লকডাউন আরোপ করতে থাকে এবং আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সাময়িক সময়ের জন্য সব কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেয়, যা পরে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। এখনো কিছু কারখানা বন্ধ রয়েছে। ফলে বর্তমানে জুতা ও স্যান্ডেল থেকে শুরু করে জিন্স, ড্রেস, টি-শার্ট, জ্যাকেট ও আরো অনেক কিছুর উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া