সর্বশেষ ট্রায়ালে দেখা গেছে, করোনার মৃত্যুঝুঁকি অর্ধেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম এই ওষুধ। ৭৫০ জন রোগীর ওপর চালানো এ পরীক্ষায় দেখা যায়, দৈনিক ২ বেলা করে ৫ দিন মলনুপিরাভির ওষুধ সেবন করা রোগীদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে মাত্র ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আর চিকিৎসা শেষে ২৯ দিনের মধ্যে কোনো রোগী মারা যায়নি।
করোনার সবগুলো ভ্যারিয়েন্ট এমনকি মারাত্মক সংক্রামক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর ফলাফল দেখিয়েছে মলনুপিরাভির। করোনা প্রতিরোধী এই ট্যাবলেটটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা ভাইরাসের জেনেটিক কোডে পরিবর্তন আনতে পারে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের এসব ফলাফল তুলে ধরে কোম্পানিটি দাবি করেছে, মুখে খাওয়ার এ ওষুধ করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি কিংবা মৃত্যুঝুঁকি প্রায় ৫০ ভাগ কমিয়ে আনতে পারে।
ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই জরুরির ব্যবহারের অনুমোদনের আবেদন করবে তারা। অনুমোদন পেলে, মলনুপিরাভির হবে করোনা চিকিৎসার প্রথম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ।
২০২১ সালের শেষের দিকে ট্যাবলেটটির ১০ মিলিয়ন কোর্স তৈরির আশা ব্যক্ত করেছে মার্ক অ্যান্ড কোং।