এদিকে পদত্যাগের পর চ্যান্সেলরের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার স্ক্যালেনবার্গের নাম প্রস্তাব করেছেন সেবাস্টিয়ান কুর্জ।
বিবিসি জানিয়েছে, অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জের দল কনজারভেটিভ ওভিপি পিপলস পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি স্থানে সম্প্রতি অভিযান পরিচালনা করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এরপরই চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জসহ আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়।
সেবাস্টিয়ান কুর্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি সরকারি অর্থ ব্যবহার করে অস্ট্রিয়ার একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকায় নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ নিশ্চিত করেছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সেবাস্টিয়ান কুর্জ।
এদিকে দুর্নীতির এসব অভিযোগ সামনে আসার পরই অস্ট্রিয়ার ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ ওভিপি পিপলস পার্টির জোটসঙ্গী গ্রিন পার্টি অনেকটা বেকে বসে। দলটি জানায়, অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়েছেন সেবাস্টিয়ান কুর্জ। এরপরই সেবাস্টিয়ান কুর্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার কার্যত ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।
এই পরিস্থিতিতে সামনের সপ্তাহে পার্লামেন্টে সেবাস্টিয়ান কুর্জের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে গ্রিন পার্টি। পরে জোট বাঁচাতে পদত্যাগ করেন সেবাস্টিয়ান কুর্জ।
এদিকে চ্যান্সেলর পদ থেকে সেবাস্টিয়ান কুর্জের পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছেন গ্রিন পার্টির নেতা ও অস্ট্রিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর ওয়ারনার কোগলার। একইসঙ্গে আলেক্সান্ডার স্ক্যালেনবার্গ নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব নিলে তার সঙ্গে কাজ করারও ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। কোগলারের দাবি, আলেক্সান্ডার স্ক্যালেনবার্গের সঙ্গে তার ‘খুবই গঠনমূলক’ সম্পর্ক রয়েছে।
এদিকে পদত্যাগের পর চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জ জানিয়েছেন, ‘দেশে এখন স্থিতিশীলতা দরকার। সংকট নিরসনে এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।’
অবশ্য চ্যান্সেলর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও নিজ দল কনজারভেটিভ ওভিপি পিপলস পার্টির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন তিনি। একইসঙ্গে পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবেও দায়িত্বপালন অব্যাহত রাখবেন তিনি।