ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এ উদ্যোগ ঘোষণার পর সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, এ কৌশলের মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ বার্ষিক সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) প্রবাহ ৩৮ হাজার ৮০০ কোটি রিয়াল (১০ হাজার ৩০০ কোটি ডলার) এবং অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ ১ লাখ ৭০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসপিএ বলেছে, এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় জ্বালানি তেল রফতানিকারকের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে ২০১৬ সালে ঘোষিত ভিশন-২০৩০ পরিকল্পনার মূল সহায়ক হবে।
প্রিন্স মোহাম্মদের উদ্ধৃতি দিয়ে এসপিএ বলেছে, আজ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি খাতের বিনিয়োগকারীদের জন্য সৌদি নতুন বিনিয়োগ যুগের সূচনা করেছে। ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি স্ট্র্যাটেজি (এনআইএস) উৎপাদন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, পরিবহন ও সরবরাহ, ডিজিটাল অবকাঠামো ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতের জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করবে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে কৌশলগত নিয়মাবলি ও প্রণোদনাসহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, কৌশলগত সরবরাহ চেইন স্থানান্তর এবং বেসরকারি খাতের জন্য নতুন অর্থায়নের ব্যবস্থা করা।
আরব বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি জটিল প্রশাসনিক পদ্ধতি এবং অপ্রচলিত নিয়মের মাধ্যমে একটি অতি রক্ষণশীল জাতি হিসেবে তার পরিচিতির পরিবর্তন করতে চাইছে। ২০১৭ সালে দেশটির ডি ফ্যাক্টো লিডার হওয়ার পর থেকে মোহাম্মদ বিন সালমান নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি, পুনরায় সিনেমা হল চালু করা এবং নারী-পুরুষ একসঙ্গে সংগীত কনসার্ট উপভোগ এবং অন্যান্য বিনোদনের ব্যবস্থাসহ ব্যাপক অর্থনৈতিক ও সামাজিক সংস্কার করেছেন। যদিও এগুলোর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ভিন্নমত ও বাক স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। তিনি গ্রেফতার করেছেন নারী অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে আলেম, সাংবাদিক ও রাজপরিবারের সদস্যদের। সূত্র: ফ্রি মালয়েশিয়া।