বুধবার (১৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, দরপত্রদাতার আর্থিক যোগ্যতা যাচাইয়ের অংশ হিসেবে তরল সম্পদ সংস্থান বাবদ ব্যাংক থেকে ঋণ সরবরাহের বিষয়ে একটি প্রতিশ্রুতিপত্র জমা দিতে হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় প্রণীত বিধান অনুযায়ী যা জমা নেয় দরপত্র আহ্বানকারী প্রতিষ্ঠান। ব্যাংকের এ প্রতিশ্রুতির মেয়াদ দরপত্র সংশ্লিষ্ট কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত থাকার কথা। তবে সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু ব্যাংক দরপত্র মূল্যায়নের সময় দরদাতার অনুকূলে ইস্যু করা প্রতিশ্রুতি পত্র প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ফলে সর্বনিন্ম দরদাতার চেয়ে বেশি দরদাতা প্রতিষ্ঠান কাজ পাচ্ছে। এতে একদিকে সরকারি কাজ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সরকারের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রোধ, সরকারি কাজ দ্রুত শেষ করা এবং দরপত্র প্রক্রিয়ায় অধিকতর স্বচ্ছতা আনার জন্য ব্যাংকের ইস্যু করা 'লেটার অব কমিটমেন্ট ফর ব্যাংকস আন্ডারটেকিং' সংশ্নিষ্ট দরপত্র আহ্বানকারীর সম্মতি ছাড়া প্রত্যাহার করা যাবে না। অবিলম্বে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে বলে বলা হয়েছে।