এতে বলা হয়েছে, মানুষজন বাইরে বেরুলে যে কোনও ধরনের মুখাবরণ থাকা আবশ্যক। সেই মুখাবরণ মাস্ক হতে পারে, দোপাট্টা বা গামছাও হতে পারে। যে কোনও কাপড়ের টুকরো বা রুমাল, যা নাকমুখ ঢাকতে পারে, তাও গ্রহণযোগ্য হবে।
রাজ্যের মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, মাস্ক বা মুখাবরণ ব্যবহার করলে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণের গতি অনেকটাই রোধ করা যায়। ফলে সবারই এটি ব্যবহার করা উচিত।
জানা গেছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে আলোচনার পরই রবিবার এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা দিলো রাজ্য সরকার।
চিকিৎকরা বলছেন, যখন কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ তৃতীয় পর্যায়ের দোরগোড়ায় পৌঁছায়, অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত। যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কার কথা স্বীকার করা হয়নি, তবে সরকারের এই পদক্ষেপকে তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই দিল্লি, মুম্বাই, আহমেদাবাদরে মতো শহর এবং উত্তরপ্রদেশ ও ওড়িশার মতো রাজ্যে মাস্ক বা মুখাবরণ পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মিরের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারি অফিসেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে এখন পর্যন্ত ৯ হাজার ২০৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।