সেইসঙ্গে দামপাড়া পুলিশ লাইনের সিএমপির ট্রাফিক উত্তর বিভাগের ব্যারেক লকডাউন করা হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামে নতুন ৫ রোগী শনাক্তের পর তিন উপজেলায় ৪টি বাড়ি লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন।
রোববার (১২ এপ্রিল) রাতেই নগরের ওই ব্যারেক লকডাউন করা হয়। একই সঙ্গে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের তিন চিকিৎসক, তিন জন নার্স, সাতজন মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ১২ জন রুমমেট ও ব্যারাকের ২০০ জন পুলিশ সদস্যকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রামের বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার জানান, রোববার চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস) নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত ছয়জনই পুরুষ। তাদের একজন নগরের পুলিশ লাইন্স এলাকার ৫৫ বছর বয়সী কনস্টেবল। তিনি ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত। তিনি সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর থেকে দামপাড়া পুলিশলাইন্স হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন। পুলিশের যেসব সদস্য আক্রান্ত সদস্যের সংস্পর্শে ছিলেন তাদের মধ্যে মোট ২২৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানান, রোববার করোনা শনাক্ত প্রতিবন্ধী শিশুটি মারা গেছে। রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত ৬ বছর বয়সি শিশুটি পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। রাত আড়াইটায় ওই শিশুকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। পরে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। এখন নিয়ম অনুযায়ী তার দাফনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।