এ লক্ষ্যে আগামী ২৬ অক্টোবর বৈঠকে বসবে সংস্থাটি। আর সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে যে, হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেকের তৈরি এই ভ্যাকসিনকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছাড়পত্র দেবে কি না।
সম্প্রতি একটি টুইটে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান গবেষক সৌম্য স্বামীনাথ জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিনকে ছাড়পত্র দেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ২৬ অক্টোবর বৈঠকে বসবে সংস্থার টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ। প্রয়োজনীয় সব কাজের জন্য ভারত বায়োটেকের সঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দিক থেকে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে।
গেল জুনে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার অনুমোদনের জন্য আবেদন করে ভারত বায়োটেক। কিন্তু অক্টোবর ১৮ তারিখ পর্যন্তও সে অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে এর মধ্যে গত ২৭ সেপ্টেম্বর আরও কিছু তথ্য চায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাদের চাওয়া মোতাবেক তথ্যগুলো জমা দেওয়াও হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বর্তমানে ভারত বায়োটেকের দেওয়া তথ্যগুলোই পর্যালোচনা করছে।
এখনও পর্যন্ত মোট ছয়টি ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে রয়েছে ফাইজার, জনসন অ্যান্ড জনসন, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও সিনোভ্যাক। ছাড়পত্র না মিললে কোভ্যাক্সিন টিকা নিয়ে অন্যান্য দেশে যেতে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে ভারতীয়দের।
তৃতীয় দফার ট্রায়াল শেষের আগেই ভারতে জরুরিভিত্তিতে টিকা প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছিল কোভ্যাক্সিন। ট্রায়াল পর্ব শেষ করার পরই ভারত বায়োটেক সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, তৃতীয় দফার ট্রায়ালে কোভ্যাক্সিন ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন না থাকায় একাধিক দেশেই এই টিকা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে এই টিকা নিয়েছেন এবং এটি বর্তমানে ভারতের জাতীয় কোভিড টিকাদান কর্মসূচির তিনটি টিকার একটি।