আইএমএফের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী জানুয়ারিতে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপনায় ফিরে যাবেন। ওই সময় তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নেওয়া ছুটি শেষ হবে। তবে তিনি জানুয়ারিতে আইএমএফের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকের পূর্বাভাস প্রতিবেদন প্রকাশের তদারক করবেন।
২০১৮ সালের অক্টোবরে আইএমএফে যোগদান করেন গীতা গোপীনাথ। কোভিড-১৯ মহামারি ও ভ্যাকসিনেশন লক্ষ্যমাত্রা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা নিয়ে আইএমএফের বিশ্লেষণাত্মক গবেষণার নেতৃত্ব দেন তিনি।
গীতা গোপীনাথ ২০২১ সালের মধ্যে বিশ্বের কমপক্ষে ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিয়ে মহামারিটি শেষ করার জন্য ৫০ বিলিয়ন ডলারের যে প্রস্তাব নিয়ে যে গবেষণা করেছিলেন, তার জন্য ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছিলেন। সেই পরিকল্পনা পরে বিশ্বব্যাংক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন করেছিল।
সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টের সূচকে চীনের পক্ষে কাজ করার অভিযোগ ওঠায় তদন্ত চলছে তৎকালীন প্রধান নির্বাহী ও বর্তমানে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে চীনকে সুবিধা দেওয়ার জন্য তাঁর সহকর্মীদের চাপ দিতেন জর্জিয়েভা। গত সপ্তাহে আইএমএফ নির্বাহী কমিটি জর্জিয়েভার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ থেকে তাঁকে অব্যাহতি দিয়ে প্রধান হিসেবেই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে গোপীনাথের চলে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটি সম্পর্কিত নয়। সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি চলে যাচ্ছেন।