শনিবার (২৩ অক্টোবর) সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকরা দ্বীপটি ভ্রমণ অথবা ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশের ভ্রমণকারীদের জন্য বিধিনিষেধ শিথিল করারও ঘোষণা দিয়েছে সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় থাকা মিয়ানমার ও দক্ষিণ এশিয়ার পাঁচটি দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পুনর্বিবেচনা করে সীমান্ত খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে এসব দেশের ভ্রমণকারীদের অবশ্যই কঠোর নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে, যার মধ্যে সরকার-নির্ধারিত জায়গায় ১০ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিধিও রয়েছে।
এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অং ইয়ে কুং বলেছেন, এই ছয়টি দেশের পরিস্থিতি বেশ কয়েকদিন ধরে স্থিতিশীল। এ কারণে দেশগুলোর ভ্রমণকারীদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
এদিন ছয়টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পাশাপাশি মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, মিশর, হাঙ্গেরি, ইসরায়েল, মঙ্গোলিয়া, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, রুয়ান্ডা, সামোয়া, সিশেলস, দক্ষিণ আফ্রিকা, টোঙ্গা ও ভিয়েতনামের নাগরিকদের জন্য বিধিনিষেধ আরও শিথিল করেছে সিঙ্গাপুর। এসব দেশের ভ্রমণকারীরা সরকারি-নির্ধারিত স্থাপনার বদলে নিজের পছন্দের কোনো জায়গায় কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারবেন।