তবে দেশটির অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস জানিয়েছে, বিধিনিষেধ না থাকায় ব্রিটেনে ভোক্তা ব্যয় বেড়েছে। কিন্তু অর্থনীতির অন্যান্য খাতে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকায় ভোক্তা ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাব সেভাবে অনুভূত হয়নি। ১ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অর্থ হচ্ছে, ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকের তুলনায় ব্রিটিশ অর্থনীতি এখনো ২ দশমিক ১ শতাংশ ছোট।
চলতি বছরের এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে কোভিড-সংক্রান্ত অনেক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়। তখন ব্রিটিশ অর্থনীতির পালে বেশ হাওয়া লেগেছিল। ওই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এরপর জুলাই-আগস্ট মাস থেকে সরবরাহ সংকট শুরু হলে অর্থনীতি গতি হারাতে শুরু করে। পরিণামে সেপ্টেম্বর মাসে প্রবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় মাত্র শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ।
এদিকে টানা ছয় মাস যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক উৎপাদন কমছে। এক জরিপে জানা গেছে, সরবরাহ ব্যবস্থায় সৃষ্ট সংকট, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও কর্মী সংকটের কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান
আর্থিক বিষয়সংক্রান্ত জরিপ প্রতিষ্ঠান বিডিও জানিয়েছে, চলতি বছরের মার্চে সর্বশেষ জাতীয় লকডাউনের পর থেকে ব্যবসায়িক উৎপাদনে ভাটা শুরু হয়। উৎপাদন পরিমাপের একক সেপ্টেম্বরে ছিল ১০৫ দশমিক ২৩ পয়েন্ট, যা অক্টোবরে নেমে হয়েছে ১০৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।
লকডাউন শেষ হওয়ার পর মহামারি সৃষ্ট ক্ষতি কাটাতে উঠেপড়ে লেগে যায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বাজারে তখন চাহিদাও বাড়তে শুরু করে। কিন্তু সরবরাহ ব্যবস্থায় সংকটের কারণে আশানুরূপ সাফল্য পাওয়া যায়নি। বাজারের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্ণ সুযোগ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিতে পারেনি।
অন্যদিকে বিশ্ববাজারে বেড়েছে জ্বালানির দাম। বেড়েছে উৎপাদন খরচ। তার সঙ্গে আছে কাঁচামালের সংকট—এসব কারণে ব্যবসায়িক উৎপাদনের গতি কমে গেছে।
বিডিওর অংশীদার কেলি ক্রসওয়েট দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ব্রিটেনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশ কঠিন সময় পার করছে। একে তো মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, অন্যদিকে কর্মী সংকট। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে ২০২২ সাল তাদের জন্য খুবই কঠিন বছর হতে পারে। বিশেষ করে তাঁদের জন্য, যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার তুলনায় স্বল্পমেয়াদি সমস্যা সমাধানে বেশি জোর দিয়েছেন।