তবে গত বছর বিশ্বের অধিকাংশ কোম্পানি লভ্যাংশ দেওয়ায় কিপটেমি করেছে। কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে নিয়ন্ত্রণজনিত সীমাবদ্ধতা ছিল। এ ছাড়া লভ্যাংশ দেওয়ার হার সীমিত রাখতে চাপ দিয়েছে সরকার। এ কারণে গত বছর বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ বিতরণ কমে গিয়েছিল। এ ছাড়া কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক দুর্বলতা তো ছিলই।
বিশ্লেষকেরা বলেন, বৈশ্বিক কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ বিতরণ বৃদ্ধির পূর্বাভাসে বোঝা যায়, এ বছর কোম্পানিগুলোর মুনাফা বেড়েছে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও করপোরেট আত্মবিশ্বাসের পাশাপাশি লভ্যাংশ বিতরণও স্বাভাবিক হচ্ছে।
কোভিডজনিত ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পুঁজিবাজারগুলো চলতি বছর স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরেছে। স্বাভাবিকভাবে তাদের মুনাফা বেড়েছে। তার বলেই এবার রেকর্ড পরিমাণ লভ্যাংশ দেওয়া হবে বলে ধারণা করছে বৈশ্বিক সংস্থাগুলো।
তথ্যানুসারে, ২০২১ সালে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর প্রদেয় লভ্যাংশ ২৫ হাজার ২৪০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে। লভ্যাংশের এ পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ বিতরণ গত বছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ৫৬ হাজার ২৩০ কোটি ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির ফলে এ বছর লভ্যাংশ বিতরণের ক্ষেত্রে খনি কোম্পানিগুলো নেতৃত্ব দেবে। ফেডারেল রিজার্ভ ও ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের মতো বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো গত বছর আরোপিত লভ্যাংশ বিতরণসংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। ফলে আর্থিক খাতও উচ্চ লভ্যাংশ দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে কোম্পানিগুলো তৃতীয় প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) রেকর্ড ৪০ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার লভ্যাংশ বিতরণ করেছে। শেয়ারহোল্ডারদের দেওয়া এ অর্থ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি।