প্রাথমিকভাবে ১১ জনের মৃত্যুর খবর জানা যায়। কিন্তু রাতের মধ্যে আটকেপড়া শ্রমিকদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হওয়ায় বাড়তে থাকে নিহতের সংখ্যা। জরুরিসেবা বিভাগের এক সূত্র বলছে, আটকেপড়াদের মধ্যে ‘কেউ হয়তো আর বেঁচে নেই’।
দুর্ঘটনার সময় সেখানে ২৮৫ জনের মতো ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, উদ্ধারের পর ৪৯ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ধোঁয়ার কারণে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। চারজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটনাস্থল থেকে তিনজন উদ্ধারকর্মীরও মরদেহ পরে পাওয়া গেছে। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ আরও ৫০ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ছয়জন উদ্ধারকর্মীও রয়েছেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা গেছে, এ দুর্ঘটনার পর শ্রমিকদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে কয়লাখনির পরিচালককে আটক করা হয়েছে।
কয়লার খনিতে দুর্ঘটনা রাশিয়ায় প্রথম নয়। এর আগেও ২০০৪ সালে দেশটিতে খনিতে মিথেন গ্যাসের বিস্ফোরণে ১৩ জন নিহত হন। ২০১৬ সালে দেশটির কর্তৃপক্ষ ৫৮টি কয়লাখনিতে শ্রমিকদের সুরক্ষার বিষয়টি মূল্যায়ন করে এবং ঘোষণা দেয় যে এগুলো ৩৪ শতাংশ অনিরাপদ। সেই তালিকায় লিজতিজনায়া খনির নাম ছিল না।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যে, তিনি আশা রাখেন যে যতটা সম্ভব মানুষকে বাঁচাতে সক্ষম হবেন। এতগুলো মানুষের প্রাণহানি ঘটনাকে, একটি বড় ট্র্যাজেডি বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: বিবিসি, আল-জাজিরা