বুধবার (২৪ নভেম্বর) প্রকাশ করা হয়েছে ভারতের পঞ্চম জাতীয় পরিবার এবং স্বাস্থ্য সমীক্ষার ফলাফল।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৯০ সালে ভারতে প্রতি এক হাজার পুরুষের বিপরীতে নারীর সংখ্যা ছিল ৯২৭। ২০০৫-০৬ সালের সমীক্ষায় পুরুষ ও নারীর সংখ্যা সমান দেখা যায়। কিন্তু ২০১৫-১৬ সালে তা আবার কমে গিয়েছিল। সেই সমীক্ষায় পুরুষ ও নারীর অনুপাত দাঁড়িয়েছিল ১০০০: ৯৯১।
তবে ২০১৯-২০২১ সালের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, পরের পাঁচ বছরে ভারতে নারীর সংখ্যা যথেষ্ট পরিমাণে বেড়েছে। অবশ্য পরিসংখ্যান বলছে, দেশটির ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এখনো নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যাই বেশি। আর শহর-গ্রামের তুলনা করলে ১৪টি রাজ্যের গ্রামে এবং ২২টি রাজ্যের শহরে পুরুষের আধিপত্য বেশি।
আবার অনেকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন, নারী-পুরুষের গড় আয়ুর মধ্যেও বেশ ফারাক রয়েছে। ভারতের সরকারি তথ্যমতে, ২০১০-১৪ সালে দেশটিতে পুরুষ ও নারীর গড় আয়ু ছিল যথাক্রমে ৬৬.৪ ও ৬৯.৬ বছর।
সমীক্ষা অনুসারে, গত পাঁচ বছরে জন্মের সময় ছেলে এবং মেয়ের অনুপাত দাঁড়িয়েছে ১০০০:৯২৯। এ থেকেই স্পষ্ট যে, ভারতে এখনো ছেলে সন্তানের প্রাধান্য রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আশাবাদী দেশটির প্রশাসনিক মহল।
ভারতের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ শীল বলেন, পুরুষ ও নারীর অনুপাত ভালো অবস্থানে থাকা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আদমশুমারি থেকে প্রকৃত ছবি স্পষ্ট হলেও এই ফলাফলের দিকে তাকিয়ে বলতে পারি, নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের পদক্ষেপগুলো সঠিক দিকেই অগ্রসর হচ্ছে।