গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথমবারের মতো করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপর গত জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ায় করোনার প্রাদুর্ভাব ঘটে।
জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। কিন্তু গত কয়েকদিনে সেখানে আক্রান্ত ও মৃত্যু সংখ্যা বাড়তে থাকায় দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোকে পেছনে ফেলেছে।
দেশটিতে প্রায় ৬ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছে ৫২০ জন। অপরদিকে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৯২৩।
তবে ইতোমধ্যেই করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬০৭ জন। তারা চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গেছে। শুক্রবারের হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪০৭ এবং মারা গেছে ২৪ জন।
অপরদিকে, তার আগের দিনের হিসাব অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮০ এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই।
বিভিন্ন দেশে এখন পর্যন্ত ২২ লাখ ৫০ হাজার ৭৫৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছে ১ লাখ ৫৪ হাজার ২৬২ জন।
তবে এখন পর্যন্ত আশার কথা হচ্ছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকেও অনেকেই সুস্থ হয়ে উঠছেন। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫ লাখ ৭১ হাজার ১৪৫ জন।