যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগের বিশেষজ্ঞ ডা, অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, বর্তমান কোভিড ভ্যাকসিনগুলো ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধী কিনা তা জানতে প্রায় দুই সপ্তাহের মতো সময় লাগবে।
গত ৯ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়। এরপরেই অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, বতসোয়ানা, ব্রিটেন, ডেনমার্ক, জার্মানি, হংকং, ইসরায়েল, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, ফ্রান্স ও কানাডায় করোনার নতুন এই ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন এই ধরনকে উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করে জানিয়েছে, করোনার অন্য সংক্রামক ধরনগুলোর তুলনায় নতুনটিতে পুনঃআক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সে কারণে বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার নতুন এই ধরনের সঙ্গে বর্তমানে বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিন সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা সে বিষয়টি বুঝতে তড়িৎ গতিতে কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
এদিকে, ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে আফ্রিকার ছয়টি দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। ইসরায়েলও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর ওপর। আফ্রিকার দক্ষিণের দেশগুলোর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকাসহ সাতটি দেশে ভ্রমণে বিধিনিষেধ জারির পাশাপাশি নতুন ধরন সংক্রমণের ওপর নজর রাখছে তারা। নিজেদের নাগরিকদেরও ওই অঞ্চলে ভ্রমণে বিধিনিষেধ জারি করেছে ইসরায়েল।
অস্ট্রেলিয়াও এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, তারা কোভিডের এই নতুন ধরন ঠেকাতে প্রস্তুত। আফ্রিকার ৭ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মালদ্বীপ, থাইল্যান্ড আফ্রিকার ৮ দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
অপরদিকে সোমবার (২৯ নভেম্বর) থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করছে যুক্তরাষ্ট্রও। দক্ষিণ আফ্রিকার ৯ দেশের ওপর বিধিনিষেধ জারির কথা জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সিঙ্গাপুরও। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নও নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের ব্যাপারে চিন্তা করছে।
বিশেষ করে ইউরোপে করোনা মহামারির চতুর্থ ঢেউ চলমান থাকায় বিভিন্ন দেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। দুই সপ্তাহ আগে আফ্রিকার সাত দেশ অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা, লেসোথো, বতসোয়ানা, জিম্বাবুয়ে, মোজাম্বিক, নামিবিয়া ও এসওয়াতিনিতে ভ্রমণ করা কোনো ব্যক্তিকে ইতালিতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এনেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।