করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন বিশ্বব্যাপী ‘অতি উচ্চ’ ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে। সেই সঙ্গে বিশ্বের কিছু অঞ্চলে গুরুতর পরিণতি নিয়ে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। ভাইরাসের এই ধরণ মোকাবিলায় বিশ্বকে দ্রুত প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।
তবে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পুণরায় কোন লকডাউন ঘোষণা করবে না। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েল এখনও আশা করছেন, সরবরাহ এবং চাহিদা ভারসাম্যের মধ্যে আসায় মূল্যস্ফীতি ২০২২ এর মধ্যে কমে আসবে। করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের উত্থানে কর্মসংস্থান - অর্থনৈতিক কার্যকলাপের জন্য ঝুঁকি তৈরি করেছে। এছাড়া মুদ্রাস্ফীতির জন্য অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে।
এদিকে ওমিক্রন আতঙ্কে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম এক ধাক্কায় ৬৮ ডলারে নেমে এসেছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে করোনার প্রথম দিকে রেকর্ড ধসের পর বিশ্ববাজারে তেলের দামের এটাই সবচেয়ে বড় পতন। দীর্ঘ সময় ধরে করোনার ছোবলে বিদ্ধস্ত বিশ্ব অর্থনীতি মাত্র ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছিল। তখনই করোনার নতুন ধরণ ‘ওমিক্রন’ নতুন সঙ্কটের মধ্যে ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বকে।