স্টেকহোল্ডারদের ওএমএস দিয়ে কাজ শুরুর তাগিদ বিএসইসি চেয়ারম্যানের

স্টেকহোল্ডারদের ওএমএস দিয়ে কাজ শুরুর তাগিদ বিএসইসি চেয়ারম্যানের
সনদ পাওয়া ৫৪ স্টেকহোল্ডারদের ওএমএস দিয়ে কাজ শুরুর তাগিদ দিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) বিএসইসির মাল্টিপারপাস হলে লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ ও সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেডকে ডিএসই কর্তৃক প্রদও ফিক্স সার্টিফিকেশন প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ তাগিদ দেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, নতুন যে ৫৪টি ব্রোকারেজ সনদ পেয়েছে তাদের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি। তারা বিভিন্নভাবে আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে৷ তাদের বিনিয়োগ অনেক, ইতোমধ্যে অফিস ও জনবল নিয়েছে। কিন্তু এখনও ব্যবসা শুরু করতে পারেননি। তারা কোন ওএমএস সিস্টেম কিনবে সেটা তারা জানে না। তাই ডিএসইর প্রতি পরামর্শ থাকবে আপাতত কিছু কানেকশন দিয়ে নতুনদের কাজ শুরু করার সুযোগ করে দেয়ার।

তিনি আরও বলেন, সকল ব্রোকারেজ হাউজগুলো যদি পর্যায়ক্রমে এপিআই সংযোগের মাধ্যমে নিজস্ব ওএমএস চালু করে তাহলে গ্রাহক সেবার উন্নতি হবে। যা শেয়ারবাজার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আপনারা গত তিন-চার বছর অনেক কষ্ট করেছেন। তবে আশা করছি এক বছরে আপনাদের ব্যবসায়ীক যেরকম উন্নতি হয়েছে আগামী দিনগুলোতে আরও ব্যাবসায়িক উন্নতি হবে।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যেই আপনারা বুঝতে পারবেন দেশের শেয়ারবাজারের প্রতি সরকারের কতটা সু-নজর রয়েছে। সেটা কোন পর্যায় থেকে হয় সেটা আপনারা তখন দেখলেই বুঝতে পারবেন। বর্তমানে শেয়ারবাজরের প্রতি যে আস্থা ফিরে এসেছে, তারই ফলশ্রুতিতে আগামীতে লেনদেন অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে৷ বাজারটাকে অনেক বড় করতে হবে৷ বন্ড লেনদেন শুরু হলেই মার্কেট অনেক বড় হবে৷

এছাড়াও তিনি বলেন, আমরা যখন কাজ করছিলাম শুরু থেকেই খেয়াল করছিলাম যে ডিএসই ওএমএস যেভাবে কেনা হয়েছিল, যে শক্তিতে তার চলার কথা, তার থেকে অনেক বেশি সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিল। ফিক্স সার্টিফিকেশনের এই বিষয়টি আমাদের অনেকদূর নিয়ে যাবে। এতে ডিএসইর উপর যে অতিরিক্ত চাপ ছিল সেটা কমে যাবে। সেই সঙ্গে আস্তে আস্তে ব্রোকারেজ হাউসগুলো ডিএসইর ওএমএসের উপর চাপ কমিয়ে নিজেদের ওএমএস সিস্টেমে চলে যাবেন।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া বলেন, আমাদের এতদিন একটাই ওএমএস ছিল। সেটার মাধ্যমে সবাই কানেকশন হত। এফপিআইকে এক্সপোজ করে দেয়াতে এখন অনেক ওএমএস বাজারে আসবে। নতুন কিছু ফিনটেক কোম্পানিও তৈরি হবে। তারা দেখবে ডিএসই ফিক্স গেটওয়ে ওপেন করে দিয়েছে৷ তিনি আরো বলেন সারা বাংলাদেশে এখন ৩০০ এর বেশি ব্রোকারেজ হাউজ আছে, ভবিষ্যতে আরো বাড়বে। নতুন কিছু ফিনটেক কোম্পানি কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে। এতে ফিক্স সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে আমরা শুধু ক্যাপিটাল মার্কেটে না, দেশের জিডিপি তেও অনেক অবদান রাখতে পারব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসি’র কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমদ, ড. মিজানুর রহমান, মোঃ আব্দুল হালিম, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালকবৃন্দ, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূইয়া, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউল করিমসহ বিএসইসি, ডিএসই, লঙ্কাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত