শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি ও সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
কেনিয়ার কিতুই শহরের গভর্নর চ্যারিটি এনগিলু শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘শনিবার সকালে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত ২৩ জনের বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত বাসের ভেতরে এখনও আরও মরদেহ রয়েছে।’
রোববার সকালে বাকি মৃতদেহগুলো উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় এনগিলু জানিয়েছেন, কেনিয়া রেডক্রস এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সম্ভব সবরকম ভাবে তল্লাশি চালাচ্ছেন এবং বাসটির যাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
কিতুই শহরের এই গভর্নর আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে চার জন শিশু। তবে দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে ঠিক কতজন আরোহী ছিলেন তা এখনও পরিষ্কার নয়।
আলজাজিরা জানিয়েছে, দুর্ঘটনাকবলিত ওই বাসটির হতাহত যাত্রীদের সকলেই কেনিয়ার মিওয়াঙ্গি ক্যাথলিক চার্চের গায়ক দলের সদস্য। শনিবার সকালে তাদের এক পুরুষ সহকর্মীর বিয়েতে অংশ নিতে বাসে করে অনুষ্ঠানস্থলে যাচ্ছিলেন।
পরে সকাল ১১টার দিকে কিতুই শহরের পাশে একটি সেতু থেকে বাসটি নদীতে পড়ে যায়। বন্যার পানির কারণে নদীতে স্রোত বেশি ছিল এবং এতেই এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
অবশ্য প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বন্যার কারণে সেতুর ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল এবং সেই পরিস্থিতিতেই দ্রুতগতিতে সেতু পার হওয়ার চেষ্টা করেন বাসচালক। তবে নদীর স্রোত অনেক বেশি থাকার কারণে একপর্যায়ে বাসটি নদীতে পড়ে যায়।