সোমবার (৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। সর্বশেষ ঘটনার মতো চলতি বছর নাইজারে বহু হামলার ঘটনা ঘটেছে এবং সেসব হামলায় শত শত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
রয়টার্স বলছে, গত শনিবার নাইজারের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বুরকিনা ফাসো সীমান্তের কাছে অবস্থিত ফুনিও গ্রামের কাছে সরকারি সেনাদের ঘিরে ফেলে শত শত যোদ্ধা। এরপরই সেনাদের ওপর তীব্র গুলিবর্ষণ ও হামলা শুরু হয়। এতেই ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
নাইজারের সরকারের দাবি, বন্দুকধারীদের হামলায় ১২ সেনা সদস্য নিহত হলেও সরকারি সেনাদের পাল্টা হামলায় বহু যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
পশ্চিম আফ্রিকার ৩ দেশ নাইজার, মালি ও বুরকিনা ফাসোর বেশ কিছু অঞ্চল উষর-অনুর্বর ও দারিদ্র্যপীড়িত বলে পরিচিত। এসব এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে জঙ্গিগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের তৎপরতা বাড়ছে।
এছাড়া নাইজারের দুই প্রতিবেশী দেশ মালি ও বুরকিনা ফাসোর সীমান্ত এলাকার এই জায়গাটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল কায়েদাপন্থি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
নাইজারে আল কায়দা ও ইসলামিক স্টেটের তৎপরতাও আছে। গত কয়েক বছর ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাত চলছে তাদের। এই সংঘাতে ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে কয়েক হাজার বেসামরিক মানুষের, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন কয়েক লাখ মানুষ।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১৮৯টি দেশের মধ্যে নাইজার সবচেয়ে দরিদ্র দেশ। প্রতিবেশী দেশগুলোর মতো এই দেশটিও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছে।