বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৩৯ জন। এদের মধ্যে শুধু ইউরোপ অঞ্চলেই মারা গেছেন ১ লাখ ৫১০ জন।
করোনার সংক্রমণ রোধে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ রয়েছে ইউরোপের বেশিরভাগ দেশেই। তারপরও ইতালি ও স্পেনে ২০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
ইতালিতে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২২৭ জন। আর স্পেনে প্রাণ হারিয়েছেন ২০ হাজার ৪৩ জন।
এর সামান্য পিছেই রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে অন্তত ১৯ হাজার ৩২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসের কারণে। যুক্তরাজ্যে ইতোমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়েছে।
জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্যমতে, ইউরোপের মধ্যে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত স্পেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৯৪ হাজার জনের শরীরে ধরা পড়েছে এই ভাইরাস।
এরপর ইতালিতে ১ লাখ ৭৫ হাজার, ফ্রান্সে ১ লাখ ৫২ হাজার, জার্মানিতে ১ লাখ ৪৩ হাজার, যুক্তরাজ্যে ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ইউরোপের বেশির ভাগ দেশেই এখনও লকডাউনের মতো নির্দেশনা জারি রয়েছে। গত শনিবার এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৯ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে স্পেন। একই কাজ করেছে যুক্তরাজ্যও।
তবে মহামারির কারণে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি চাঙ্গা করতে বেশ কিছু দেশ বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডে এ সপ্তাহেই দোকানপাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ফের চালু হচ্ছে।
৩ হাজার ৪০০-এর বেশি মৃত্যু হলেও মহামারি পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে ঘোষণা দিয়েছে জার্মানি। তারাও ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেয়ার চিন্তা করছে। সোমবার থেকেই কিছু দোকানপাট খুলে দেয়া হয়েছে সেখানে। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই চালু হচ্ছে স্কুলগুলোও।
করোনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখা ইতালিতেও লকডাউন শিথিল হচ্ছে। ইতোমধ্যেই চলাচলের জন্য ভেনিসের খালগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে।