বরিশালে এই বোনটি পুলিশের চাকরির পরীক্ষায় ভালোভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও সম্পত্তি না থাকায় চাকরি হওয়া নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। শুনেছি না করে দিয়েছে।
কী অদ্ভুত আইনী কান্ড! সংবিধান বলছে সকল নাগরিকের সমান অধিকার, আইন বলছে অন্যায় করেও দেশ ছেড়ে যেতে বাঁধা নেই বা সম্পত্তি না থাকলে কনস্টেবলের চাকরি হবে না! তাহলে আইন এবং সংবিধান পরিপন্থী এক নয়?
একজন নাগরিক কী সুযোগ-সুবিধা পাবে বা পাবে না সেটা তার সম্পত্তি বা সে গরীব তার উপর বিবেচনা করে নাগরিককে সুযোগ সুবিধা দিতে হবে? তাই যদি হয় দেশ স্বাধীন করার সময় তো একথা শুনি নাই ? কি হবে এসব আইন দিয়ে যদি জনগণ তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়? এই ভাবে আর কত দিন চলবে? সম্পত্তি আছে কি নাই তার ওপর নির্ভর করতে পারে না মেয়েটির ভবিষ্যত। এই আইন আর এক দিনও চলতে পারে না দেশে!
ব্রিটিশ আইনেই যদি দেশ চলবে তাহলে কি দরকার আছে দেশের আইন মন্ত্রনালয়ের? এই অদ্ভুত ভয়ঙ্কর কুৎসিত বীভৎস বৈষম্যপূর্ণ আইন অবিলম্বে বাতিল করে সকল নাগরিকের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছি!
লেখক: রহমান মৃধা, সাবেক পরিচালক (প্রোডাকশন অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট), ফাইজার, সুইডেন থেকে।