যশোরের সাইদুর রহমান, তার জুট মিলের জন্য প্রতিমাসে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা বিদুৎ বিল দিতে হতো। তার ফ্যাক্টরির ছাদে ২৩১ কিলোওয়াট পিক অন গ্রিড নেট মিটারিং সোলার সিস্টেম বসানোর পর প্রতিমাসে বিদুৎ বিল সেভ করতে পারছেন প্রায় ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
একইভাবে গফরগাওয়ের প্রিন্স সাহেব তার বাড়ির ছাদে একটি হাইব্রিড সোলার সিস্টেম বসানোর ফলস্বরূপ বিদুৎ বিল কমে আসার পাশাপাশি ব্যাটারি বেকাপে লোডশেডিং এর ঝামেলামুক্ত হয়েছেন।
বাংলাদেশে জ্বালানি চাহিদা দিনদিন বাড়ছে কিন্তু ডলার সংকটের কারনে দেশী-বিদেশী কম্পানিগুলোর বিদুৎ , জ্বালানি তেল, কয়লা এবং গ্যাসের বিল পরিশোধ করা যাচ্ছে না, সরবরাহ কমে যাওয়ায় ব্যহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত না করে স্থাপিত বিদুৎকেন্দ্রগুলোর বেশীরভাগ এখন সরকারের জন্য বোঝা হয়ে দাড়িয়েছে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষ করে স্মার্ট সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার পারে এই সংকট থেকে মুক্তি দিতে। অনেকেই মনে করে থাকে, জমির স্বল্পতা সোলার পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের জন্য বাধা। ভিয়েতনাম মাত্র তিন বছরে ১৮ হাজার মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করে দেখিয়েছে। রুফটপের উপযুক্ত ব্যবহার এবং মাত্র ৫% অকৃষি জমি ব্যবহার করে আমাদের দেশেও ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদুৎ উৎপাদন সম্ভব।
সোলার রুফটপ সিস্টেমে সৌরবিদ্যুত উৎপাদন ব্যয় অনেক কম। প্রযুক্তির স্মার্ট ব্যবহারে আগের চেয়ে অর্ধেক জমি লাগছে সোলার প্লান্ট স্থাপনে। এছাড়া উৎপাদনশীলতাও বাড়ছে আগের চেয়ে অন্তত ৪ গুন। প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির দামও অনেক কমে এসেছে ফলে সৌরবিদ্যুত ব্যবহার সহজলভ্য হচ্ছে। বানিজ্যিক বিবেচনায় ‘সৌরবিদ্যুত’ টেকসই এবং লাভজনক।
কোনো প্রতিষ্ঠান যদি নিজ খরচে রুফটপ সোলার প্লান্ট করে তাহলে প্রতি ইউনিট বিদুৎ উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ৫ টাকা। অপরদিকে নেট মিটারিং সুবিধার আওতায় থাকা গ্রাহক নিজস্ব সোলার সিস্টেম থেকে সৌরবিদ্যুত ব্যবহারের পর অতিরিক্ত বিদুৎ গ্রিডে সরবারাহের মাধ্যমে বিদুৎ ক্রেডিট পেয়ে থাকে যা বিদুৎ বিলের সাথে সমন্বয় হয়। সৌরবিদ্যুতের স্মার্ট সলুশনের জন্য ভিভন টেকনোলজিস লিমিটেডের মতো ভালো অনেক কোম্পানি রয়েছে।
লেখক: মিনহাজুল হুদা রাহি, ইঞ্জিনিয়ার, ভিভন টেকনোলজিস লিমিটেড।
অর্থসংবাদ/এসএম