চীনে উৎপাদন বন্ধের খবরে কিছু কোম্পানির শেয়ারদরে ব্যাপক পতন

চীনে উৎপাদন বন্ধের খবরে কিছু কোম্পানির শেয়ারদরে ব্যাপক পতন
নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশে ডজনখানেকের বেশি বড় কোম্পানি তাদের উৎপাদন বন্ধ রেখেছে। করোনা সংক্রমণ রোধ করতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উৎপাদন বন্ধ রাখার খবর আসার পরপরই সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) শুরুর দিকে লেনদেনে তাদের শেয়ারেরও দরপতন ঘটে।

স্থানীয় সময় সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দেশটির সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ঝেজিয়াং প্রদেশে গত ৬ ডিসেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থানীয়ভাবে ১৭৩ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেছে। চলতি বছর ওই প্রদেশে প্রথম স্থানীয় সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। এর আগে গত অক্টোবরে ওই প্রদেশে মাত্র একজন স্থানীয়ভাবে সংক্রমিত হয়।

উৎপাদন বন্ধ রাখা কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে নিংবো হোমলিংক ইকো-আইটেক, ঝেজিয়াং ঝংশিন ফ্লুরাইড ম্যাটেরিয়ালস, ঝেজিয়াং জিংশেং মেকানিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রিক্যাল এবং ঝেজিয়াং ফেংলং ইলেকট্রিক।

হঠাৎ করেই উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঝেজিয়াং চুনহুই ইন্টেলিজেন্ট কন্ট্রোল এবং ঝেজিয়াং ইয়ানকন গ্রুপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়। তাদের প্রতিটি শেয়ারের মূল্য ৭ শতাংশ কমেছে।

প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদনকারী নিংবো হোমলিংক ইকো-আইটেক রোববার জানায়, স্থানীয় কর্তৃূপক্ষের অনুরোধে তারা বিভিন্ন শহরে উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব কমানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তারা।

ভ্যান্টিলেশন প্রক্রিয়ার সরঞ্জাম তৈরির কারখানা ঝেজিয়াং জিনদুন ফ্যান্স রোববার জানিয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের করোনাবিরোধী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে তারাও উৎপাদন বন্ধ রেখেছে।

এসব কোম্পানি বলছে, তাদের পণ্য সরবরাহে কিছুটা সময় লাগবে এবং এতে ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু বার্ষিক উৎপাদনের ফলাফলে এর প্রভাব খুব একটা পড়বে না।

সবগুলো কোম্পানিই উৎপাদন বন্ধ রেখে স্থানীয় সরকারকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যখন স্থানীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে তখন উৎপাদন আবারও শুরু করা হবে বলেও জানিয়েছে তারা।

সোমবার দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, চীনে গত ১২ ডিসেম্বর নতুন করে ১০১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একদিন আগেই এই সংখ্যা ছিল ৭৫। নতুন সংক্রমণের মধ্যে ৮০টিই স্থানীয় সংক্রমণ। একদিন আগেই স্থানীয় সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ৪৯।

তবে দেশটিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকলেও নতুন করে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনা সংক্রমণে মারা গেছে ৪ হাজার ৬৩৬ জন। এছাড়া এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৯ হাজার ৭৮০। সূত্র: স্ট্রেইটস টাইমস

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া