মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে ডব্লিউএইচও প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, সম্ভবত বিশ্বের অনেক দেশ এটি এখনও শনাক্ত করতে পারেনি। ওমিক্রন ঠেকানোর কাজটি যে ঠিকভাবে হচ্ছে না, তা নিয়েই উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন তিনি।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে বলা যায় সত্যিকার অর্থেই আমাদের বিপদ আরও বাড়িয়ে তুলেছে। যদি ওমিক্রনে রোগীদের অসুস্থতা মারাত্মক নাও হয়, তাতেও এটা যে হারে সংক্রমণ ঘটাচ্ছে, তাতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর বড় চাপ তৈরি করতে পারে।
গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বপ্রথম করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়। এরপরই বতসোয়ানা, হংকংসহ আরও বেশ কিছু দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে অতি সংক্রামক এই ধরন। গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন ধরনে আক্রান্তের খবর বিশ্ববাসীকে জানায়।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। রামাফোসা করোনার টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছিলেন। স্থানীয় সময় রোববার (১২ ডিসেম্বর) কেপটাউনে সাবেক প্রেসিডেন্ট এফ ডব্লিউ ডি ক্লাকের স্মরণানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই অসুস্থ বোধ করছিলেন সিরিল রামাফোসা। দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, করোনা আক্রান্ত প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার মৃদু উপসর্গ রয়েছে এবং তিনি আইসোলেশনে আছেন।
এদিকে, ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে যুক্তরাজ্যে অন্তত একজন মারা গেছেন। সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) পশ্চিম লন্ডনের একটি টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে এ কথা জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীর মৃদু উপসর্গ এবং গুরুতর আক্রান্তদের ক্ষেত্রে অক্সিজেন সংকটের মাত্রাও কম। সূত্র: বিবিসি