চলতি বছরে অ্যাপলের শেয়ারের দাম ৩৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কোম্পানিটির নতুন আইফোন ১৩ এবং অন্যান্য পুরোনো মডেলসহ অ্যাপল মিউজিক, অ্যাপল টিভি প্লাস, আইক্লাউড এসব অ্যাপ স্টোরভিত্তিক পরিষেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শেয়ারদরে ইতিবাচক প্রভাব পড়ে বলে মনে করা হয়।
গত তৃতীয় প্রান্তিক জুলাই-সেপ্টেম্বরে অ্যাপলের পণ্য ও সেবা বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ বা ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার বেড়েছে। এই ৩ মাসে মোট বিক্রি হয়েছে ১৯ হাজার ১০০ কোটি ডলার।
নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) বহুজাতিক কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দশমিক ৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭৪ ডলার ৩৩ সেন্ট। শেয়ারের দর ১৮২ ডলার ৮৫ সেন্টে উঠলেই নতুন রেকর্ড হয়ে যাবে, যা সময়ের ব্যাপারমাত্র। এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে আজ মঙ্গলবারের লেনদেন শুরু হয়নি।
২০১৮ সালের আগস্টে অ্যাপলের বাজারমূল্য এক ট্রিলিয়ন বা লাখ কোটি ডলারের উন্নীত হয়। এর এক বছরের মাথায় ২০২০ সালের আগস্টে কোম্পানিটির বাজারমূল্য দুই ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ কোটি ডলার অতিক্রম করে। প্রসঙ্গত, এক লাখ কোটিতে এক ট্রিলিয়ন হয়।
অ্যাপল মূলত কনজ্যুমার ইলেকট্রিক, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও বিভিন্ন ধরনের অনলাইন সেবা দিয়ে থাকে। স্টিভ জবস, স্টিভ ওজনিয়াক ও রোনাল্ড ওয়েন ওজনিয়াক ১৯৭৬ সালের এপ্রিলে অ্যাপল ১ ব্যক্তিগত কম্পিউটার (পিসি) ডেভেলপ ও বিক্রির লক্ষ্যে অ্যাপল গঠন করেন। এরপর ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে তাঁরা প্রতিষ্ঠানটির নাম দেন অ্যাপল কম্পিউটার।
বাজারমূল্যে তিন ট্রিলিয়ন বা তিন লাখ কোটি ডলার ক্লাবে পৌঁছাতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য কোম্পানির আরও অনেক সময় লাগতে পারে। কারণ, তারা এখনো এই মাইলফলক থেকে অনেক দূরে রয়েছে। যেমন বর্তমানে অ্যাপলের সবচেয়ে কাছে থাকা কোম্পানি মাইক্রোসফটের বাজারমূল্য প্রায় ২ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন বা ২ লাখ কোটি ডলার। আর গুগলের মালিক অ্যালফাবেটের বাজারমূল্য প্রায় ২ ট্রিলিয়ন বা দুই লাখ কোটি ডলার। এর পেছনে রয়েছে বৈশ্বিক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন ও বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা। এর মধ্যে বর্তমান বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী জেফ বেজোসের আমাজন ও ১ নম্বর ধনী ইলন মাস্কের টেসলার বাজারমূল্য হচ্ছে যথাক্রমে ১ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন (১ লাখ ৭০ হাজার কোটি) ও ইলন মাস্কের টেসলার ১ ট্রিলিয়ন (এক লাখ কোটি) ডলার। সূত্র: সিএনএন বিজনেস।