বড় পতনে শেয়ারবাজারের সপ্তাহ পার

বড় পতনে শেয়ারবাজারের সপ্তাহ পার
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও দেশের শেয়ারবাজারে বড় পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) প্রধান শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। তবে লেনদেন আগের দিনের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৫১ পয়েন্ট হারিয়েছে। এ সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসেই ‘ডিএসই এক্স’ এর বড় পতন হয়েছিল। সেদিন সূচকটি হারিয়েছিল ৮৫ পয়েন্টের বেশি। সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রধান সূচকের উত্থান হয়েছে শুধু গত মঙ্গলবার। সেদিন সূচকে যোগ হয়েছিল ২১ পয়েন্ট। আর পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার দিনই প্রধান সূচকের পতন হয়েছে। শেষ দিনের বড় পতন শেষে বর্তমানে ৬ হাজার ৭০২ পয়েন্টে অবস্থান করছে ‘ডিএসই এক্স’।

আজ ‘ডিএসই এক্স’ এর সঙ্গে অপর দুই সূচকেরও পতন হয়েছে। বাছাই করা কোম্পানিগুলো নিয়ে গঠিত ‘ডিএসই ৩০’ মঙ্গলবার ২৪ পয়েন্ট কমেছে। আর শরীয়াহ ভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক ‘ডিএসই এস’ হারিয়েছে ১০ পয়েন্ট।



বৃহস্পতিবার সূচক নামানোর প্রধান ভূমিকায় ছিল বেক্সিমকো। কোম্পানিটির শেয়ারদর পতনের কারণে ডিএসইর সূচক হারিয়েছে ৬ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট।

রবি, ওয়ালটন হাই-টেক, লাফার্জ হোলসিম এবং ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো মিলে সূচক কমিয়েছে আরও ১৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট।

এছড়াও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি), ইউনিলিভার কনজ্যুমার, ইউনাইটেড পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, বিকন ফার্মা এবং বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলসের কারণে সূচক হারিয়েছে আরও ৮ দশমিক ২৪ পয়েন্ট।

এই দশ কোম্পানি মিলে সূচক কমিয়েছে ২৯ দশমিক ০৬ পয়েন্ট।

ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংক এশিয়া, গ্রামীনফোন, এশিয়ান ইন্স্যুরেন্স, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, সোনালী পেপার, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, ট্রাস্ট ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা এবং পাইওনিয়ার্স ইন্স্যুরেন্স সূচক বাড়াতে কিছু চেষ্টা করেছে। এসব কোম্পানির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৬ পয়েন্ট।

সব সূচকের পতনের দিন দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে। আজ ডিএসইতে ৮০১ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কর্মদিবসে (বুধবার) লেনদেন হয়েছিল ৭৬৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকার।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৩৭৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৮২টি কোম্পানির, বিপরীতে কমেছে ২৬১টির। বাকি ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারদর আজ অপরিবর্তিত ছিল।

[caption id="attachment_93199" align="alignnone" width="1696"] বৃহস্পতিবার ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে থাকা পাঁচ কোম্পানি[/caption]

দুই শতাধিক কোম্পানির শেয়ারদর পতনের দিনও ঢাকা ডাইয়িংয়ের শেয়ারদর একদিনে যতটুকু বৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব ততটুকু বেড়েছে। আজ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। কোম্পানিটি আজ ডিএসইর দরবৃদ্ধি তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে।

এদিন দরবৃদ্ধি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারদর বেড়েছে ৭ দশমিক ১৬ শতাংশ।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইর টপটেন গেইনার তালিকার তৃতীয় থেকে দশম স্থানে আছে বিমা খাতের ৮ কোম্পানি। এর মধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর আজ ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেড়েছে।

টপটেন গেইনার তালিকার অপর কোম্পানিগুলো হলো- এশিয়ান ইন্স্যুরেন্স, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স এবং কর্ণফূলী ইন্স্যুরেন্স।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে আজ যেসব কোম্পানির দর বেড়েছে তার মধ্যে ৫৩ শতাংশই বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান। আর টপটেন গেইনার তালিকার ৮০ শতাংশই ছিল এ খাতের।

বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতনের দিন খান ব্রাদার্সের শেয়ারদর কমেছে সর্বোচ্চ। আজ কোম্পানিটির শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমায় প্রতিষ্ঠানটি ডিএসইর টপটেন লুজার তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছে।

দরপতনের তালিকার শীর্ষে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ, এমআই সিমেন্টের ৭ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের শেয়ারদর ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ কমেছে।

এছাড়াও প্রিমিয়ার লিজিং, ন্যাশনাল টি, লিবরা ইনফিউশন, রেনউইক যজ্ঞেশ্বর, বিচ হ্যাচারি ও দেশ গার্মেন্টস আজ টপটেন লুজার তালিকায় স্থান পেয়েছে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত