বার্ত সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এর এক দিন আগে যুক্তরাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। গত বুধবার দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ১ লাখ ৬ হাজারের বেশি মানুষ।
এর আগে চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশটিতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় করোনার সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়। করোনার সার্বক্ষণিক তথ্য সরবরাহকারী ওয়েবসাইট ওয়াল্ডোমিটারসের তথ্য অনুসারে, সেই সময় দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৬০ হাজারের বেশি। এরপর সংক্রমণ কমে আসতে শুরু করে। গত মে মাসে করোনার গড় সংক্রমণ দুই হাজারে নেমে আসে। এরপর আবারও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি গড় সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। তবে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে সংক্রমণ আবার ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যায়। সেই সংক্রমণ দুদিন ধরে এক লাখের ওপরে রয়েছে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপে যেসব দেশ করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ৪৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশটির অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকসের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত সপ্তাহের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যে করোনা রোগী ছিল ১৪ লাখের বেশি। বলা হচ্ছে, ২০২০ সালে যুক্তরাজ্যে মহামারি আঘাত হানার পর এই প্রথম একসঙ্গে এত রোগী ছিল না।
যুক্তরাজ্যে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা দিনকে দিন বাড়ছে। তবে করোনার আগের ঢেউয়ের তুলনায় এবার হাসপাতালে যাওয়া রোগীর সংখ্যা ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে দুটি গবেষণা হয়েছে। এসব গবেষণাতেও এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে টিকার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিন কোটি মানুষকে টিকার বুস্টার ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশা করছেন, ৩১ ডিসেম্বর নাগাদ ১৮ বছরের বেশি বয়সী সবাইকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনা সম্ভব হবে।