দুর্ঘটনায় নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার। এই ৩৭ জনের মধ্যে ৪ জনের মরদেহ ঝালকাঠি থেকেই শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। এরপর বাকি ৩৩ মরদেহ শুক্রবার রাত সোয়া ১১টায় বরগুনা সদর হাসপাতালে পৌঁছায়। হাসপাতাল থেকে ৪ জনের মরদেহ শনাক্ত করে নিয়ে যান স্বজনরা। বাকি মরদেহগুলো শনাক্ত করা যায়নি।
বেওয়ারিশ ২৯ মরদেহের জানাজা শেষ হয়েছে। জানাজার নামাজে উপস্থিত ছিলেন হাজার হাজার মানুষ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জানাজা শেষে এই ২৯ মরদেহ দাফনের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সদর উপজেলার পোটখালী গ্রামের সরকারি গণকবরে দাফন করা হবে এই মরদেহগুলো।
প্রসঙ্গত, ২৩ ডিসেম্বর দিনগত রাত তিনটার দিকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে বরগুনাগামী লঞ্চ এমভি অভিযান-১০ এ। এ ঘটনায় ৪১ জনের প্রাণহানি ঘটে। আহত হন শতাধিক। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। নিহত ৪১ জনের ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা।