আফগান বার্তা সংস্থা খামা প্রেস জানায়, আবদুল লতিফ পিএইচডি ডিগ্রিধারী। তিনি আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক।
এছাড়া তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটার পোস্টে বলেন, ডক্টর আবদুল লতিফকে পেশাদার উপ-অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার ডিক্রিবলে আবদুল লতিফ উপ-অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
আফগান তালেবানের তথ্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপমন্ত্রী জাবিউল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে বলেন, আবদুল লতিফ হাজরা সম্প্রদায়ের সদস্য। অর্থনীতি বিষয়ে তাঁর দক্ষতা ও জানাশোনা রয়েছে।
পশতু নন, এমন আরও একজন তালেবানের অন্তর্বর্তী সরকারে আছেন। তিনি হলেন ডা. হাসান গিয়াসি। তিনিও হাজরা সম্প্রদায়ের সদস্য। তিনি জনস্বাস্থ্যবিষয়ক উপমন্ত্রী হিসেবে আগেই নিয়োগ পেয়েছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর তালেবান ৩৩ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করে। এ মন্ত্রিসভায় কোনো নারী সদস্য নেই। একই সঙ্গে তালেবানের মন্ত্রিসভা অন্তর্ভুক্তিমূলকও নয়।
তালেবান অর্থমন্ত্রী (ফিন্যান্স) হিসেবে মোল্লা হেদায়েতুল্লাহ বাদরির নাম ঘোষণা করে। জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকায় নাম রয়েছে বাদরির। তিনি আগের তালেবান সরকারের উপ-অর্থমন্ত্রী ছিলেন। তিনি ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে তালেবানের অর্থসংক্রান্ত বিষয় পরিচালনা করেছেন।
তালেবান অর্থনীতিবিষয়ক (ইকোনমি) মন্ত্রী করে কারি দীন মোহাম্মদ হানিফকে। তিনি তালেবানের কাতার অফিসে আলোচক দলের সদস্য ছিলেন। তিনি তালেবানের আগের সরকারে উচ্চশিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।