রোববার দিল্লিতে করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৯০ জন, যা গত ছয়মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এছাড়া কোভিডে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুও হয়েছে।
ভারতের যে রাজ্য ও প্রশাসনিক অঞ্চলগুলো মহামারির মধ্যে সবচেয়ে বিপর্যয় পার করেছে সেসবের মধ্যে অন্যতম দিল্লি। মহামারির ২ বছরে রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৩৫২ জন এবং এ রোগে মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ১০৫ জনের।
বর্তমানে দিল্লিতে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ১০৩ জন, যাদের প্রায় অর্ধেক-৫৮৩ জন আছেন হোম আইসোলেশনে। ওমিক্রনের প্রভাবে রাজধানী ও তার আশপাশের এলাকায় বর্তমানে দৈনিক সংক্রমণ দশমিক ৫৫ হারে বেড়েছে বলে রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে দিল্লি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে দিল্লির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (ডিডিএমএ) রাজধানীতে বড়দিন ও নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে যাবতীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। এছাড়া রেস্তোরাঁ, পানশালা ও অডিটোরিয়ামগুলোকে আংশিক লোকবল নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিয়ের অনুষ্ঠানেও সর্বোচ্চ ২০০ ব্যক্তি উপস্থিত থাকতে পারবেন বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার।
করোনা থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে রাজ্যবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার আহ্বানও জানানো হয়েছে রোববারের আদেশে।
ওমিক্রনের সংক্রমণ ঠেকাতে এই নিয়ে ভারতের তিন রাজ্যে নাইট কারফিউ জারি করা হলো- দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র।