বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন অতিসংক্রামক ধরন। দেশটির সীমান্ত ঢিলেঢালা করার পর এবং কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার পর এখন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষ ওমিক্রনে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। তবে জানা গেছে, ওমিক্রনে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির বয়স ৮০। তিনি সিডনি হাসপাতালে মারা গেছেন।
মহামারি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিন সেলভি বলেছেন, নিউ সাউথ ওয়েলসে ওমিক্রনে এটি প্রথম মৃত্যুর ঘটনা। যেটি উদ্বেগের কারণ এবং সতর্ক হওয়া জরুরি।
নিউ সাউথ ওয়েলস ও ভিক্টোরিয়ার ২৫ লাখ মানুষ এখন ঘরে থাকার বিধিনিষেধ পালন করছেন। তারপরও দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ছে করোনাভাইরাস।
সোমবার পর্যন্ত নিউ সাউথ ওয়েলস, ভিক্টোরিয়া এবং কুইন্সল্যান্ডে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে নয় হাজার একশ সাত জনের। করোনা মোকাবিলায় নর্থ সাউথ ওয়েলস বিভিন্ন পয়েন্টে চেক করা বাধ্যতামূলক করেছে এবং অন্যান্য রাজ্যেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম বি.১.১.৫২৯, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্তের খবর আসে। নতুন এই ধরনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় গত ৯ নভেম্বর। বর্তমানে বিশ্বের দুই শতাধিক দেশে ছড়িয়েছে ওমিক্রন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনার নতুন ধরনকে উদ্বেগজনক বলছে এবং বারবার বিশ্ববাসীকে সতর্ক করছে।
ওমিক্রন সবচেয়ে বেশি কাবু করে ফেলেছে ইউরোপের দেশগুলোকে। ফলে ওমিক্রন ঠেকাতে বড়দিনের উৎসব পালন সত্ত্বেও নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয় দেশে দেশে।
নেদারল্যান্ডস আবারও লকডাউন চালু করেছে। ইতালি ও স্পেনে বাড়ির বাইরে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে মাস্ক পরা। ব্রিটেনে চলতি সপ্তাহজুড়ে করোনা আক্রান্তের সর্বোচ্চ রেকর্ড হওয়ায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিকদের। ফ্রান্স সরকারও বুস্টার ডোজ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। সূত্র: রয়টার্স