ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলবার্ট বোরলা বলেছেন, ওমিক্রনকে মাথায় রেখে টিকা তৈরির কাজ চলছে। আশা করা যাচ্ছে, এ টিকা আগামী মার্চের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, ওমিক্রনের টিকার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের সরকারের আগ্রহ রয়েছে। ফলে, টিকা তৈরির কাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে।
যারা এর আগে করোনার টিকা নিয়েছেন, তারাও ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে টিকা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফাইজার। টিকার কার্যকারিতা প্রসঙ্গে সিএনবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আলবার্ট বোরলা বলেন, টিকা প্রস্তুত হয়ে যাবে আগামী মার্চে। এখন বিদ্যমান টিকার দুই ডোজ ও বুস্টার ডোজ ওমিক্রনে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ক্ষেত্রে ভালো সুরক্ষা দিচ্ছে।
এ নিয়ে বায়োএনটেকের সিইও স্টিফানে ব্যানসেলও কথা বলেছেন সিএনবিসির সঙ্গে। তিনি বলেছেন, তাদের প্রতিষ্ঠান অমিক্রনের কথা মাথায় রেখে একটি বুস্টার ডোজ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন ইতিমধ্যে ১০০টির বেশি দেশে ছড়িয়েছে। এ ধরন নিয়ে ভয়ের কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানীরা। ভয়ের কথা বলছেন অন্যরাও। এ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, ডেলটা ও বেটা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনের পুনরায় সংক্রমিত করার ক্ষমতা তিন গুণ। এছাড়া আগে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতাও ওমিক্রনের রয়েছে।