জার্মানিতে কোনো ধরনের ভ্যাকসিন উৎপাদন, উন্নয়ন ও স্বীকৃতি দিয়ে থাকে পল এলরিচ ইনস্টিটিউট (পিইআই)। নিজেদের গবেষকদের উৎপাদিত ‘বিএনটি১৬২বি১’ নামের ভ্যাকসিনটি করোনা নিরাময়ে কাজে দেয় কি-না তা মানব শরীরে পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দিয়েছে তারা। চলতি এপ্রিলের শেষ দিকে এই পরীক্ষা চালানো হবে বলে জানিয়েছে ডয়েচেভেলে।
ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়োএনটেকে ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছেন ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ও ইমিউনোলোজিস্ট ইউগুর সাহিন ও তার দল। আগে করা নিজেদের ক্যানসার ইমিউনোলোজি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি চেষ্টায় হাত দেন তারা। প্রধান গবেষক ইউগুর সাহিন বায়োএনটেকের সিইও’র পদে আসার আগে জার্মানির ইউনিভার্সিটি অব মেইজেও পড়িয়েছেন।
জার্মান সরকারের পল এলরিচ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সাহিন বলেন, গতানুগতিক আরএনএ ভ্যাকসিন অনুযায়ীই ‘বিএনটি১৬২বি১’ তৈরি করা হয়েছে। এটা করোনারভাইরাসের বিরুদ্ধে কিভাবে কাজ করবে সেটাও জানিয়েছেন তিনি।
‘বিএনটি১৬২বি১’ ছাড়াও জার্মানিতে করোনাভাইরাসের ভ্যাসকিন আবিষ্কারের আরও কিছু চেষ্টা চেষ্টা চলছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজারের সঙ্গে মিলে আরও তিনটি আরএনএ ভিত্তিক ভ্যাকসিন উৎপাদন চেষ্টা চালাচ্ছে বায়োএনটেক।
তাছাড়া ইউরোপের অনেক দেশ, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠেপড়ে লেগেছে।
পল এলরিচ ইনস্টিটিউট বলেছে, ‘বিএনটি১৬২বি১’ ভ্যাকসিনটি স্বেচ্ছায় রাজি হওয়া ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী লোকদের ওপর প্রয়োগ করা হবে। তাতে দেখা হবে এই ভ্যাকসিনে শরীরের ইমিউন সিস্টেম কোনো প্রতিক্রিয়া তৈরি করে কি-না। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া তৈরি হয় কি-না দেখা হবে সেটাও।
করোনাভাইরাসের এই ভ্যাকসিন ট্রায়ালকে জার্মানি ও বিশ্বের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন হিসেবে উল্লেখ করেছে পল এলরিচ ইনস্টিটিউট।